Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন বর্তমান সরকারের চ্যালেঞ্জ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ মার্চ, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বর্তমান সরকার দেশের যুব সমাজকে মাদক ও সকল ধরনের নেশা হতে মুক্ত করার লক্ষ্যে বহুবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির এমপি মো. মুজিবুল হক চুন্নুর টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে সংসদে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। মন্ত্রী বলেন, সরকার মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়ন অব্যাহত আছে। এ নীতি বাস্তবায়নে একত্রে কাজ করছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ডসহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। গত বছরে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তায় ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩ জনকে আসামী করে ১১৯৮৭৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আর উদ্ধার হয়েছে ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৯ হাজার ৩২৮টি ইয়াবা, ৪৫০ কেজি হিরোইন, ৬০ হাজার ৩৪৩ কেজি গাঁজা এবং ৭ রাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ বোতল ফেনসিডিল।
মন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫টি ফলপ্রসু দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধকল্পে মিয়ানমারের সঙ্গে ৩টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। দেশটিকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে টেকনাফে অধিদপ্তরের ১৪জন জনবল এবং আনসারসহ ২৪জনবল বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী সার্কেল কাজ করছে। এটাকে স্থায়ী সার্কেলে রুপ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে টেকনাফ সীমান্তে সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে।
নাসিমুল হক চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল বলেন, নিউ সাইকোট্রাফিক সাবসটেনসেস (এনপিএস) মাদক পৃথিবীর অনেক দেশে ব্যাপক বিস্তার লাভ করলেও বাংলাদেশে এ শ্রেণীর মাদক এখনো বিস্তৃতি লাভ করেনি। আমাদের দেশে ইতিমধ্যে ক্যাটামিন নামক এ শ্রেণির একটি ড্রাগ এর অপব্যবহার রোধকল্পে সরকার এটিকে মাদক হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। বর্তমানে এটির ব্যবহার নিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে রয়েছে।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীতে ২টি মহিলা আনসার ব্যটালিয়ান ও ৩৯টি পুরুষ আনসার ব্যাটালিয়ানসহ মোট ৪১টি ব্যাটালিয়ান রয়েছে। অবশিষ্ট ৪০টি ব্যাটালিয়ানে ১৫৬৮৩জন কর্মরত যার মধ্যে মহিলা রয়েছে ৮০৪জন।
আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগকে আরও দক্ষ উন্নত ও আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বিভিন্নমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণানুযায়ী প্রত্যেক উপজেলায় একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের জন্য ৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। সারাদেশে ৪০৬টি ফায়র সার্ভিস স্টেশন চালু রয়েছে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ