পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ চার দশমিক ৬২ শতাংশ কমিয়ে এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হচ্ছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় এনইসি সভায় এডিপি সংশোধনের এই প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য তোলা হতে পারে বলে পরিকল্পনা কমিশনের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করেছিল সরকার। সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নসহ এ বরাদ্দের পরিমাণ ছিল ১৮০ হাজার কোটি টাকা।
সরকার প্রতিবারই শতভাগ এডিপি বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়ে এলেও বাস্তবায়নের ধীর গতির কারণে প্রতিবছরই অর্থ বছরের শেষভাগে এসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে কাঁচি চালাতে হয়। গত অর্থবছর এডিপির আকার কমেছিল তিন শতাংশের মত।
এবার এডিপিতে যে কাটছাট হচ্ছে তার পুরোটাই বৈদেশিক সহায়তার খাত থেকে বাদ যাচ্ছে। মূল এডিপিতে এ খাত থেকে ৬০ হাজার কোটি টাকা পাওয়ার আশা করা হয়েছিল। সংশোধিত এডিপিতে তা ৯ হাজার কোটি টাকা বা ১৫ শতাংশ কমিয়ে ৫১ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হচ্ছে।
অন্যদিকে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা করা হচ্ছে সংশোধিত এডিপিতে।
পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. নুরুল আমিন বলেন, এবার মূলত প্রকল্প সহায়তার খাত থেকেই কাটছাট হচ্ছে। সরকারি বরাদ্দে উল্টো এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে। সব মিলে এবারের সংশোধিত এডিপির আকার দাঁড়াচ্ছে ১৬৫ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, এডিপি সংশোধনের জন্য বৈদেশিক সহায়তাপুষ্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে জড়িত সংস্থা বা প্রকল্প পরিচালকদের মতামত চাইলে তারা ৯ হাজার কোটি টাকা ফিরিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব করে। সেই প্রস্তাব আমলে নিয়ে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ কিছুটা বাড়িয়ে এডিপি সংশোধন করা হচ্ছে। এ হিসাবে এবারের সংশোধিত এডিপি ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব তৈরি করা হচ্ছে।
পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের প্রধান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় আমাদের দ্বিতীয় কল নোটিস দিয়েছে। ওই নোটিসে মূল এডিপির আকার এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার মধ্যে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, অর্থ বিভাগ থেকে সংশোধিত এডিপিতে যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে ভাগ করে দেওয়া হবে। এরপর পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় প্রস্তাবিত সংশোধিত এডিপি চ‚ড়ান্ত করা হবে। সব শেষে প্রস্তাবিত সংশোধিত এডিপি অনুমোদন দেওয়া হবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।