পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ত্বকীকে হত্যা করার পর হত্যাকারীরা আজও ঘুরে বেড়াচ্ছে। এই দেশে ত্বকী হত্যাকান্ড একটি বিচারহীনতার প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এমন সম্ভাবনাময় কিশোরের হত্যাকান্ডে যারা জড়িত তাদের বিচার যত দিন এ দেশে হবে না তত দিন এ দেশ বিচারহীনতার সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে না। ত্বকী হত্যার ৬ বছর পূর্তিতে সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে বিশিষ্ট জনেরা এ কথা বলেন। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এই গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে সাংবাদিক কামাল লোহানী বলেন, ত্বকী হত্যার পর এটি এখনো আন্দোলনে পরিণত হয়নি। এটা আমাদের ব্যর্থতা। আমাদের প্রয়োজনে আবার আইনের আশ্রয় নিতে হবে। প্রয়োজন হলে সংগঠন তৈরি করে গণ আন্দোলন করতে হবে। সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে হবে। সেই সময় এসে গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ত্বকী হত্যা একটি প্রতিবাদে পরিণত হয়েছে। আমাদের দেশের বিচারহীনতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ত্বকী কাউকে আঘাত করেনি। কারও প্রতি অন্যায় করে নি। তারপরও তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। এ রাষ্ট্র তাঁকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি তাঁর হত্যার বিচার করতে পারেনি। এ রাষ্ট্রকে মানবিক করার জন্য আমাদের আন্দোলন করতে হবে।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গত ছয় বছর ধরে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে আমাদের এই আলোচনায় অংশ নিতে হয়। এই হত্যার বিচার যত দিন হয়নি তত দিন আমাদের চেষ্টা করে যেতে হবে। চেষ্টা করলে এই হত্যার বিচার একদিন না একদিন হবেই। এর পেছনে যে রাজনীতি আছে এটা স্পষ্ট।
ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি বলেন, ত্বকীর ঘাতকেরা সরকারের সঙ্গে জড়িত। বিচারহীনতা থেকে রেহাই পেতে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন জরুরি।
গোলটেবিলে বক্তব্য দেন, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, অধ্যাপক এম এম আকাশ. মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সারওয়ার আলী, ন্যাপের আহŸায়ক পঙ্কজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
ত্বকী হত্যাকান্ডের বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দেন সন্ত্রাস নির্মূল ত্বকী মঞ্চের সদস্যসচিব হালিম আজাদ। সভাপতিত্ব করেন ত্বকীর বাবা রফিউর রাব্বি।
২০১৩ সালের ৬ মার্চ নারায়ণগঞ্জ শহরের বাসার সামনে থেকে নিখোঁজ হয় সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বির ছেলে তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। ওই দিনই সদর মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন রাব্বি। ৮ মার্চ সকালে শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা চারারগোপ এলাকার খালে ত্বকীর লাশ পাওয়া যায়। ওই দিন রাতেই ত্বকীর বাবা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পরে ১৮ মার্চ সাংসদ শামীম ওসমান, তাঁর ছেলে অয়ন ওসমান, জেলা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা জহিরুল ইসলাম পারভেজ ওরফে ক্যাঙারু পারভেজ, জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি রাজীব দাস, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সালেহ রহমান সীমান্ত ও রিফাতকে দায়ী করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন রফিউর রাব্বি। ###
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।