পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নিজের মেয়ের ধর্ষণের বিচার চাইতে গিয়ে উল্টো তার স্বজনদেরই পুলিশ মামলায় ফাঁসিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্বজনদের অভিযোগ, ধর্ষণের সাথে কোন ধরণের সংশ্লিষ্টতা না থাকা সত্তে¡ও মূল আসামীদের সাথে আতাত করে বাদীর তিন স্বজনকে জড়িয়ে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভোলানাথপুর এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেছে। এখন তারা আসামীদের হুমেিক পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। যদিও পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভুক্তভোগী স্বজনরা অভিযোগ জানান, গত বছর ২ জুন রাত ১০টার দিকে নিজ বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে রাকিব মিয়ার মেয়ে সুবর্ণা আক্তারকে (১৩) ধর্ষণ ও বিষ খাইয়ে হত্যা করে স্থানীয় চার বখাটে। এ ঘটনায় তিনি ইয়ামিন (১৯), সাব্বির (২২), রনি (১৯) ও রাসেল নামে চারজনকে আসামী করে মামলা করেন। ঘটনার পর পুলিশ সাব্বির ও রনিকে গ্রেফতার করলে তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। আর রাসেল গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকার কিছুদিন পরে জামিনে বের হয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে আবারও ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। এছাড়া ইয়ামিন ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
এদিকে, এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার পুলিশ আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। যেখানে তিন স্বজনের নাম অন্তুভুক্ত করা হয়েছে। যদিও পরবর্তী শুনানির দিন এই চার্জশিটের বিষয়ে বাদী নারাজি দেবেন। ভুক্তভোগী স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ মকবুল (২২), রাব্বি (২৬) ও মনির মিয়া (২৮) নামে তিন আত্মীয়কে জড়িয়ে চার্জশিট দিয়েছে। অথচ মকবুল ও রাব্বী বাদীর চাচাতো বোনের ছেলে আর মনির ভাগ্নি জামাই। আসামীরা আদালতে ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করা এখন ক্ষোভের বশে এই তিনজনকে ফাঁসানো হয়েছে।
স্বজনরা অভিযোগে জানায়, ইয়ামিন জামিনে বের হয়ে মামলা উঠিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। ধর্ষকদের ভয়ে বাদীর পরিবার ও স্বজনরা জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা পুলিশ নিয়ে এলাকায় টহল দিয়ে বাদী ও অন্যদের ভেতরে আতঙ্ক তৈরি করছে।
মামলার শেষ তদন্ত কর্মকর্তা রূপগঞ্জ থানার পরিদর্শক শফিউল আজম বলেন, আসামীরা স্বীকারোক্তমূলক জবানবন্দীতে মকবুল, রাব্বি ও মনিরের নাম বলেছে। পরবর্তীতে চার্জশিটে তাদের নাম অন্তুভূক্ত করা হয়। তবে পুলিশের সাথে অপরাধীদের আতাত ও অবৈধ লেনদেন মিথ্যা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।