রাজধানীর বনানীর লেকে পড়ে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৪০ ঘণ্টা পর সোহাগের (১৬) লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা। গতকাল দুপুর ১টার দিকে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বনানীর ১১ নম্বর রোডের আনসার ক্যাম্প এলাকা সংলগ্ন লেকে পড়ে নিখোঁজ হয় সোহাগ।

ফায়ার সার্ভিস ও বনানী থানা সূত্র জানায়, ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত চেষ্টা করেও সোহাগের কোন খোঁজ পায়নি। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে অভিযান শুরু হয়ে দিনব্যপী চলে। কিন্তু ওইদিনও কোন খোঁজ না পেয়ে সন্ধ্যার দিকে অভিযান স্থগিত করা হয়। ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার কামরুল হাসান বলেন, টানা দু’দিন অভিযানের পরেও সোহাগের খোঁজ না পেয়ে গতকাল সকাল থেকে আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু করে ডুবুরিরা। পরে বেলা ১টা ৫ মিনিতে সোহাগের লাশ উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
বনানী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বোরহান উদ্দিন রানা বলেন, সোমবার রাতে বনানী লেকের একটি স্পটে বসে তিন বন্ধু নেশা করছিল। কয়েকজন লোক সেখানে দিয়ে যাওয়ার সময় ওই তিনজনকে দেখতে পেয়ে তাদের বসে থাকার কারণ জানতে চায়। তখন তারা ভয় পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তবে দু’জন পালিয়ে গেলেও সোহাগ লেকে ঝাঁপ দেয়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।
কড়াইল বস্তির কয়েকজন বাসীন্দা বলেন, সোহাগ ভাঙারি কুড়িয়ে বিক্রি করতো। এছাড়া সব ধরণের নেশা করতো। ঘটনার দিন বন্ধুদের সাথে নেশা করছিল বলে বস্তিবাসীদের কাছ থেকে শোনা গেছে।
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এক তরুণ বনানীর ১১ নম্বর রোডের আনসার ক্যাম্প এলাকা সংলগ্ন লেকে পড়ে যায় বলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিস ও জরুরি সেবার ‘৯৯৯’ নম্বরে কল করে জানায়। এরপর ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা দু’দিন চেষ্টা করেও সোহাগের লাশ উদ্ধার করতে পারেনি। পরবর্তীতে ৪০ ঘণ্টা পর গতকাল দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোহাগের বাবার নাম শরিফুল ইসলাম। তারা কড়াইল বস্তির জামাই বাজারে থাকেন। গ্রামের বাড়ি রংপুরের পীরগাছায়।