পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমীর মাওলানা শাহ আতাউল্লাহ হাফেজ্জী বলেছেন, জাতীয় সংসদে কাদিয়ানীদের দোসর রাশেদ খান মেনন কুরআন-সুন্নাহর বিধানকে “মোল্লাতন্ত্র” আখ্যায়িত করে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সা.) কে অপমানিত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আল্লাহ-রাসূল (সা.) এবং ইসলামকে অবমাননা করায় মেননকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এধরনের বেয়াদব জাতীয় সংসদের সদস্য থাকতে পারে না। অবিলম্বে মেননের সংসদ সদস্য পদ বাতিল করতে হবে। মেননের বিচার না করলে আন্দোলন বেগবান করা হবে।
গতকাল বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাশেদ খান মেননের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন দলের মহাসচিব মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী, নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দীন, মাওলানা সানাউল্লাহ, সাইফুল ইসলাম সুনামগঞ্জী, মাওলানা সাজেদুর রহমান ফয়েজী ও মাওলানা আফম আকরাম প্রমুখ।
মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী বলেন, ইসলাম ও আলেম-ওলামা ও কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে অশালীন বক্তব্য দিয়ে রাশেদ খান মেনন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পুলিশের বাধাগ্রস্ত হলে ক্ষুব্ধ জনতা মেননের ছবিতে জুতাপেটা করে অগ্নি সংযোগ করেন।
ইসলামী ঐক্যজোট
হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আবুল হাসানাত আমিনী এক বিবৃতিতে বলেন, গণবিচ্ছিন্ন নাস্তিক, চরমপন্থী বাম নেতা রাশেদ খান মেনন সংসদে কুরআন-সুন্নাহর বিধি-বিধান ও ইসলামী অনুশাসনকে “মোল্লাতন্ত্র” বলে গালি দিয়ে মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে (সা.) অপমানিত করেছে। তার এই বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে দেশের কোটি কোটি আল্লাহ ও রাসুলপ্রিয় মানুষ ক্ষুদ্ধ এবং ব্যথিত। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, তার মত বেয়াদব ও চরম ইসলাম বিদ্বেষী জাতীয় সংসদের সদস্য থাকতে পারে না। অবিলম্বে তার সংসদ সদস্য পদ বাতিল করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনতে হবে। তা না হলে জাতীয় সংসদ ভবন ঘেরাও করা হবে।
খেলাফত মজলিস
খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক বলেছেন, রাশেদ খান মেনন জাতীয় সংসদে ইসলাম, মাদ্রাসা শিক্ষা ও আলেম-ওলামাদের কটাক্ষ করে যে আপত্তিকর বক্তব্য প্রদান করেছেন তা এদেশের সর্বস্তরের ধর্মপ্রাণ মানুষকে আহত করেছে। রাশেদ খান মেননের দেয়া সকল আপত্তিকর বক্তব্য জাতীয় সংসদের কার্যবিবরণী থেকে অবিলম্বে এক্সপাঞ্জ করতে হবে। মেননকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। গতকাল বুধবার খেলাফত মজলিসে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠকে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।