পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাসড়কের ওপর গুরুত্ব কমিয়ে রেলওয়ের উন্নয়নে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে প্রচুর সড়ক-মহাসড়ক হয়েছে। গত দশ বছরে দেশে নতুন নতুন রাস্তাঘাট হয়েছে। যা পর্যাপ্ত। এখন রেলের উন্নয়নে বিশেষ জোর দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হাই স্পিড এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত হাই স্পিড রেল দরকার। এছাড়া পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ করার নির্দেশ দেন তিনি। আর সড়ক ও মহাসড়ক সংস্কার ও মেরামতের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলের পাশাপাশি নৌ পথের উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
নারায়নগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত ছিল অনেক আগেই। এবার সেই অর্থনৈতিক অঞ্চলের অবকাঠামোও উন্নয়ন করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে গতকাল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ‘নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জাপানি অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য অবকাঠামো উন্নয়ন’ শিরোনামের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করেন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ২ হাজার ৫৮২ কোটি এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৪৫৫ কোটি এবং জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থার (জাইকা) ঋণ পাওয়া যাবে দুই হাজার ১২৭ কোটি টাকা।
একনেক সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, আমরা ভারত ও চীনের জন্যও অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। সেখানেও তাদের জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। এবার জাপানকেও তাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ, রাস্তাঘাট নির্মাণসহ অন্যান্য অবকাঠামো করে দেওয়া হবে। মন্ত্রী বলেন, জাপানি উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলের অনসাইট উন্নয়ন করা হলে তারা বিনিয়োগ আকৃষ্ট হবে। এতে করে সেখানে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। যা আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০২৩ সালের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)।
এদিকে একনেক সভায় দেশের উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামের সড়কে অনুর্ধ্ব ১০০ মিটারের সেতু নির্মাণের একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে খরচ হবে এক হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা। ২০২৪ সাল নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে। সভা শেষে মন্ত্রী বলেন, দেশের অনেক স্থানে বিদ্যমান ছোট সেতুগুলো ভেঙ্গে পড়ছে। চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কোথাও কোথাও মানুষ বাশের সাকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে। এসব দুর্ভোগ কমাতে সরকার এই প্রকল্পটি অনুমোদন কেেরছে। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় ৬১টি জেলার ২৭৫ উপজেলায় নির্মিত হবে ৩৪০টি সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি সেতুর দৈর্ঘ্য হবে ১০০ মিটার।
এছাড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান সংস্কারে একনেকে আলাদা একটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। সারাদেশের ১ হাজার ৮১২টি মন্দির সংস্কার করা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২২৯ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ১ কোটি ২৩ লাখ সনাতন ধর্মালম্বী উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, একনেক সভায় ছয় হাজার ২৭৬ কোটি টাকা ব্যয়ে মোট আটটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে তিন হাজার ৩১৪ কোটি টাকা খরচ হবে। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে দুই হাজার ৯৬২ কোটি টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।