Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সংসদে মন্ত্রীর তথ্য

গত বছর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ৮ হাজার জন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (আইএআরসি) এর প্রতিবেদন অনুযায়ী গত বছর (২০১৮) বাংলাদেশে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৫০ হাজার ৭৮১ জন, যার মধ্যে মরণব্যাধী এই রোগে মারা গেছে ১ লাখ ৮ হাজার ১৩৭জন।
গতকাল রোববার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী সংসদকে এতথ্য জানিয়ে আরো বলেন, তামাক, দূষণ, অনিরাপদ খাদ্যভাসের কারণে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বাড়লেও গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোবাকো সার্ভে (জিএটিএস), ২০০৯ এবং জিএটিএস, ২০১৭ এর তুলনামূলক তথ্যচিত্রে দেখা যায়, তামাকের ব্যবহারের কারণে ক্যান্সার রোগীরে সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। কেননা ২০০৯ সালে তামান ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ৪৩.৩ শতাংশ গত ২০১৭ সালে এ সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫.৩ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, তামাকের বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে সরকার ইতিমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে, য্রা মধ্যে ধুমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রন) আইন, ২০০৫ (২০১৩ সালে সংশোধিত) এবং ধূপপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালাা, ২০১৫ এর আওতায় পাবলিক প্রেস ও পাবলিক পরিবহনে ধূমপাত হতে বিরত থাকুন বাংলা ও ইংরেজী ভাষায় নোর্টিশ প্রদর্শন ও সিনেমা হলে ও টেলিভিশনে সিনেমা প্রদর্শনের আগে-পরে বার্তা প্রদর্শন করা।
এম আবদুল লতিফের অপর আরেকটি প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে দূরদর্শী পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের জন্য পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে পঁঅচ বছর মেয়াদী চতুর্থ সেক্টর কর্মসূচি (২০১৭-২২) বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ কর্মসূচির আওতায় পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারের হার (সিপিআর) বর্তমানে ৬২.৪শতাংশ (বিডিএইচএস ২০১৪) যা ২০২২ সাল নাগাদ ৭৫ শতাংশে উন্নীত করা ও নবজাতকের সেবা ৬.১ থেকে ২৫ শতাংশে উন্নীত করা হবে।
নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের গ্রামাঞ্চলে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতির গ্রহণকারী মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। স্বাধীনতা উত্তরকালে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর হার ছিল মাত্র ৭.৭ শতাংশ। ২০০৯ সালেণ এ সংখ্যা ছিল ৫৫.৮ শতাংশ এবং বর্তমানে এ সংখ্যা ৬২.২ শতাংশ।
মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, দেশের মোট ৩৩টি জেলায় ৩৬টি সরকারি মেডিকেল কলেজ রয়েছে। এছাড়া বেসরকারি পর্যায়ে ৬৯টি এবং বাংলাদেশ আর্মি নিয়ন্ত্রিত ৬টি মেডিকেল কলেজ রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ