পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ছাত্রত্ব না থাকায় ও তথ্য গোপন করার অভিযোগে আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল সংসদে সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী সাইফুল্লাহ আব্বাছির প্রার্থিতা বাতিল চেয়েছেন একই হল সংসদে স্বতন্ত্র ভিপি প্রার্থী মো: সোলায়মান ইসলাম। এ মর্মে গতকাল দুপুর পৌনে ১২টার দিকে জহুরুল হক হল অফিসে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন তিনি। মো: সোলায়মান ইসলাম স্বতন্ত্রভাবে জহুরুল হক হল সংসদে ভিপি পদে প্রার্থী হয়েছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত সাইফুল্লাহ আব্বাছি ছাত্রলীগের প্যানেলে জহুরুল হক হল সংসদে ভিপি প্রার্থী হয়েছেন। এরআগে ছাত্রত্ব না থাকার পরেও ভিপি প্রার্থী হওয়া নিয়ে পুরো ক্যাম্পাসজুড়ে সৃষ্টি হয় আলোচনা-সমালোচনা। এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে বহুল প্রকাশিত জাতীয় ও অনলাইন সংবাদ মাধ্যম। এর আগে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো প্রার্থী লিখিত অভিযোগ দিলে সাইফুল্লাহ আব্বাসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানাননো হয়। তারই প্রেক্ষিতে গতকাল অভিযোগপত্র জমা দেন সোলায়মান। যদিও হল প্রশাসন কর্তৃক অভিযোগপত্র জমা নিতে দেরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগপত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হল প্রশাসন। এ বিষয়ে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, আমি অভিযোগপত্র হাতে পেয়েছি। অভিযোগপত্রে সোলায়মান বলেন, জহুরুল হক হল সংসদে সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী সাইফুল্লাহ আব্বাছি (ভোটার নং-২২৩৩) সুস্পষ্ট তথ্য গোপন করলেও তার প্রার্থীতা বাতিল হয়নি। তিনি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং তার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রেশনের নম্বর ২০১২-৮১৪৬৮৮। গত ২৮ জানুয়ারি তার মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, কিন্তু তিনি বিষয়টি এড়িয়ে হল প্রশাসনকে অবহিত করেন নি। ফলাফল প্রকাশিত হলেও, তার ছাত্রত্ব না থাকলেও প্রার্থীতা বৈধ বলে গণ্য হয়েছে। যা ডাকসু ও হল ছাত্র সংসদ গঠনতন্ত্রের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এমতাবস্থায় আমি এই তথ্যটি হল প্রশাসনকে বিবেচনায় নিয়ে সাইফুল্লাহ আব্বাছির প্রার্থীতা বাতিল করার জন্য আবেদন করছি। এ বিষয়ে সোলাইমান ইসলাম মুন্না বলেন, হল প্রশাসন বলেছিল ৯টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত অভিযোগপত্র জমা নেওয়া হবে। এজন্য সকাল সাড়ে ৯টায় হল অফিসে অভিযোগপত্র জমা দিতে যাই। কিন্তু অফিসের কর্মকর্তারা আমার অভিযোগপত্র জমা নিতে চায় নি। প্রাধ্যক্ষকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেন নি। হলের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কল দিলে তিনি অভিযোগপত্র হল অফিসে জমা দিতে বলেন। এরপর দুপুর পৌনে ১২টার দিকে আমি অভিযোগপত্র জমা দেই। তিনি বলেন, প্রার্থীতা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে কল দিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। আমি চাই, হলের শিক্ষার্থীরা যাকে চায়, সে ই বিজয়ী হোক। তবে বিনা প্রতিদ্ব›দ্বীতায় কাউকে নির্বাচিত করার যে চেষ্টা করা হচ্ছে, তা ঠিক হচ্ছে না। এ বিষয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ পত্র পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। তবে তিনি এ বিষয়ে কোন কথা না বলে হলের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে কল দিতে বলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।