Inqilab Logo

রোববার, ০৭ জুলাই ২০২৪, ২৩ আষাঢ় ১৪৩১, ৩০ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ

হোসেন মাহমুদ | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

আজ ৩রা মার্চ। সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়ছিল আন্দোলন। এদিন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ও উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলা কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে পল্টন ময়দানে আয়োজিত জনসভায় স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। ইশতেহারে বলা হয়, ৫৪ হাজার ৫০৬ বর্গমাইল বিস্তৃত ভৌগোলিক এলাকার ৭ কোটি মানুষের আবাসিক ভ‚মি হিসেবে স্বাধীন ও সার্বভৌম এ রাষ্ট্রের নাম ‘বাংলাদেশ’। স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে গৃহীত হয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি’ সংগীতটি। পাকিস্তানি পতাকার বদলে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ব্যবহার ও উত্তোলনের নির্দেশনা দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুকে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক ঘোষণা করা হয়। ‘জয় বাংলা’ নির্ধারিত হয় বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে।
২রা মার্চ উত্তোলিত পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে ব্যবহার করার নির্দেশনা দেয়া হয় ইশতেহারে। জনসভায় বঙ্গবন্ধু অহিংস-অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়ে অবিলম্বে সামরিক আইন প্রত্যাহার, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফিরিয়ে নেয়ার দাবি জানান। সে সাথে অফিস-আদালত বন্ধ রেখে, খাজনা-ট্যাক্স না দেয়ার নির্দেশ প্রদান করে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যেতে জনগণকে নির্দেশনা দেন তিনি।
এদিকে ঢাকায় দ্বিতীয় দিনের মত আর সারা দেশে প্রথম দিনের মত পালিত হয় হরতাল। আগের দিন গুলিতে শহিদদের লাশ নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়। লাশ দেখে মানুষ আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। আবারো মিছিলকারিদের উপর গুলি চালায় সৈন্যরা। সংবাদপত্রে এ সব খবর যাতে প্রকাশিত না হয় সেজন্য সরকার সেন্সরশিপ আরোপ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাধীনতা


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ