Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ০৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতার স্থায়ী সমাধান হবে

সাংবাদিকদের এলজিআরডি মন্ত্রী

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দীর্ঘদিনের পানিবদ্ধতার সমস্যা থেকে চট্টগ্রামবাসী স্থায়ী মুক্তি পাবেন জানিয়ে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতার স্থায়ী একটা সমাধান হবে। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসন ও দৃষ্টিনন্দন হিসেবে বন্দরনগরীকে গড়ে তুলতে আগ্রহী।
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে ‘নগরীর পানিবদ্ধতা নিরসন ও চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড’ বিষয়ে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এলজিআরডি মন্ত্রী এ আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, আসন্ন বর্ষা মৌসুমে কোথাও যাতে পানিবদ্ধতার সৃষ্টি না হয়, এরজন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শিগগির শুরু করবে। ইতোমধ্যে পানিবদ্ধতা সমস্যা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে।
মেগা প্রকল্পের অগ্রগতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, সিডিএর চলমান প্রকল্পগুলোর গুণগত মান ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তারা অবিলম্বে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে। স¤প্রতি পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) আওতায় চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতা নিরসনে নতুন আরেকটি প্রকল্প একনেক কর্তৃক অনুমোদন লাভ করেছে। এরজন্য এক হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হবে। সবমিলে চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে যাচ্ছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য আর্থিক সক্ষমতা তৈরি করা হবে। সঙ্গত কারণে প্রকল্পগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করবে সিটি কর্পোরেশন। সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে চট্টগ্রামে পানিবদ্ধতা সমস্যা নিরসন হচ্ছে না বলেও অভিযোগ রয়েছে, এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পর্যালোচনা করে তাদের মধ্যে সমন্বয় দেখতে পাচ্ছি।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নান। এতে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এসএম গোলাম ফারুক, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এবং চসিক, সিডিএ, ওয়াসাসহ এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ভুক্ত বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন বিভাগ ও সংস্থার অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত উক্ত আলোচনা সভায় এলজিআরডি মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময়ই চট্টগ্রামবাসীর পাশে রয়েছেন। কেননা চট্টগ্রাম দিয়েই বাংলাদেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের কারণেই আমরা স্বপ্ন দেখছি, স্বপ্ন পূরণে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। তাই আমরা চট্টগ্রামের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানের পথ বের করছি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের প্রতিটি উন্নয়ন প্রকল্প পাশ করিয়ে দেন। গত একনেক সভায়ও চট্টগ্রামের পানিবদ্ধতা সমাধানে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছেন। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে চট্টগ্রাম দ্রুত এগিয়ে যাবে, দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ