পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আর মাত্র ১১ দিন বাকী শিক্ষার্থীদের বহুল কাক্সিক্ষত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনের। এ নির্বাচনকে ঘিরে গতকাল বুধবার প্রকাশ করা হয়েছে প্রাথমিক তালিকা। বিভিন্ন হল নোটিশের মাধ্যমে জানা যায়, ডাকসু নির্বাচনে মোট প্রার্থী হয়েছেন ৮৩১ জন। এর মধ্যে ৩১ জন মনোয়ন বাদ পড়েছে। এর মধ্যে ডাকসুতে ২৩০ জন বৈধ,অবৈধ ৭ জন। হল সংসদে বৈধ ৫৭০ জন, বাদ ২৪ জনের। এর আগে ১৯ ফেব্রয়ারী থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা মনোয়ন ফরম সংগ্রহ করে। এই তথ্য পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী (জিএস) বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি উম্মে হাবিবা বেনজীর, স্যার এফ রহমান হলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ও কবি সুফিয়া কামাল হলের সহ সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী, ছাত্রলীগের ডাকসুর কেন্দ্রীয় সদস্যা পদপ্রার্থী নিপো ইসলাম তন্বী, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের অভ্যন্তরীণ ক্রীড়া সম্পাদক পদ প্রার্থী কাহহার ফাহিম, শামুসননাহার হলের সহ-সভাপতি প্রার্থী জিয়াসমিন শান্তা, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সহ সভাপতি প্রার্থী নাহিদ, জসিমউদদীন হলেল সহ-সভাপতি তৌহিদুর রহমান তাজ, শামসুননাহার হলের সহ-সভাপতি প্রার্থী মানসুরা আক্তারের মনোনয়নপত্র প্রাথমিকভাবে বাতিল করা হয়েছে। তবে বাতিলকৃত প্রার্থীরা লিখিতভাবে আবেদন জানাতে পারবেন।
তালিকার বিষয়ে কোনো আপত্তি থাকলে আজকের মধ্যে লিখিতভাবে হল প্রশাসনকে জানানো যাবে। লিখিত অভিযোগ যাচাই বাছাই শেষে আগামী ৩ মার্চ চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল ক্যাম্পাস ঘুরে দেখা যায় এই মুহুর্তে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়, দাবি-দাওয়া তুলে ধরে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা। ছাত্রলীগ প্যানেলের ডাকসুর সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ক্যাম্পাসের কলা ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকায় শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কেমন সাড়া পাচ্ছেন জানতে চাইলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী হাওয়া এখনও লাগেনি। ২ মার্চের পর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রচারণা শুরু করবো। এখন আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলছি, তাদের মতামত নিচ্ছি। তারা কেমন বিশ্ববিদ্যালয় চাই সেটা জানতে চাচ্ছি। আমরা সবাই মিলে স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে চাই। শিক্ষার্থীরা যাদেরকে যোগ্য মনে করবে তাদেরকেই ভোট দিবে। আমরা যুগোপযোগী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার লক্ষ্যেই নির্বাচনী ইশতেহার প্রদান করব। অনানুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রার্থীরা। বুধবার বেলা একটার দিকে ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, কলা ভবন, ক্যাম্পাস শ্যাডো, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, রেজিস্টার ভবন এলাকায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন তারা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও প্রচারণা শুরু করেনি দলটি। শুভেচ্ছা বিনিময় ও ডাকসু নির্বাচনের বিষয়ে ছাত্রদলের সহ-সভাপতি প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কথা বলছি। তাদের দাবি শুনছি। এই সময় তিনি বলেন, এখনো হলে কোনো সহাবনস্থান তৈরী হয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই যেনো হলে সহাবস্থান তৈরী হয়। দলীয় দাবি দাওয়া নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে সমর্থন আদায়ে কাজ করেছেন বাম ছাত্র সংগঠনগুলোর মোর্চা ‘প্রগতিশীল ছাত্র জোটের’ প্রার্থীরা। সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউট, কলাভবন, ক্যাম্পাস শ্যাডো ও কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এলাকায় প্রচারণা চালিয়েছেন তারা। এই বিষয়ে প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সহ-সভাপতি (ভিপি) লিটন নন্দী সাংবাদিকদের বলেন, আমরা দরগত দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে গিয়েছি। দাবি তুলে ধরেছি। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। তবে মনোনয়নপত্র প্রাথমিক বাছাইয়ে বিভিন্ন হলের বেশ কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এই ঘটনার নিন্দা জানায়।
এদিকে ডাকসু নির্বাচনে অংশ নিতে সাংবাদিকতা ছেড়ে এককভাবে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসুর) সাধারণ সম্পাদক পদে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সভাপতি এম আর আসিফুর রহমান। বুধবার বেলা দেড়টার দিকে মধুর ক্যান্টিনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই ঘোষণা দেন তিনি। লিখিত বক্তব্যে এম আর আসিফুর রহমান বলেন, আমি এম আর আসিফুর রহমান আসন্ন ডাকসু নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়বো। দীর্ঘ আঠাশ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তবে নিকট অতীতের জাতীয় নির্বাচনের অভিজ্ঞতা আমাদের শঙ্কিত করে তুলেছে। শুধু নিকট অতীতই নয়, ডাকসু নির্বাচনের বন্ধ্যাত্বকালীন গত তিন দশকের নির্বাচনগুলোর বেশিরভাগই ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। জনমনে আতঙ্ক, আসছে ১১ই মার্চ ডাকসুতেও এরকম একটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনের মতো নির্বাচন ডাকসুতে চাই না’। আমি কর্তৃপক্ষকে চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই, ‘যদি প্রশাসন ১১ই মার্চ নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে পারে তবে আমি আসিফুর রহমান জিএস পদে জয় নিয়ে ফিরব’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।