পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনীতি দেশের মানুষের জন্য নিজের জন্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ক্ষমতাটা ভোগ করার বিষয় না, জনসেবার বিষয়। শেখ হাসিনা বলেছেন, যাঁরা সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণ করেন তাঁদের বলব, বেশি সময় যেন ট্র্যাফিক আটকে রাখা না হয়। ডিজিটাল পদ্ধতিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা চালু হলে দুর্ভোগ কিছু কমবে। শিগগিরই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ বন্ধ করে অটোমেটিক এবং রিমোট কন্ট্রোলের সমন্বয়ে ট্রাফিক সিগন্যাল লাইট অনুযায়ী যানবাহন নিয়ন্ত্রণ রুকরা হবে।
গতকাল বুধবার বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন। জাপার এমপি কাজী ফিরোজ রশিদ সম্পূরক প্রশ্ন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানুষের কী ভালো, কী মন্দ, সেটা জানার চেষ্টা করি। মানুষের সমস্যাগুলো সমাধানেরও চেষ্টা করি। আমি মনে করি, জনগণ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। এটা আমাদের কর্তব্য। কাজেই সেটাকে আমি কতর্ব্য হিসাবেই নিয়েছি। দেশটাকে জানাও একান্তভাবে প্রয়োজন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ কারণেই চেষ্টা করে থাকি, কিভাবে মানুষের জন্য একটু কল্যাণকর কাজ করতে পারি। শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদের মতো মাদকের বিরুদ্ধেও সর্বাত্মক উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এমপিদেরও নিজ নিজ এলাকায় কেউ যাতে মাদকাসক্ত না হয়, সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকতে হবে। অন্য যারা জনপ্রতিনিধি রয়েছেন তাদেরও সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে মাদকমুক্ত সমাজ গঠনে সচেষ্ট থাকতে হবে। মাদক ব্যবহার, বিক্রি বা বহন করা এগুলো যে অপরাধ, জনগণ এ ব্যাপারে এখন যথেষ্ট সচেতন। সরকার যাদেরকে আত্মসমর্পন করাচ্ছে (মাদক ব্যবসায়ী), তাদের চিকিৎসা ও কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে মাদক থেকে দূরে রাখার পদক্ষেপ নিয়েছি। মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে যারা আত্মসমর্পণ করছে তাদের সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সাহায্য দেয়া হচ্ছে, যাতে তারা অন্য কোন ব্যবসায় নিয়োজিত হয়ে ভালভাবে চলতে পারে। এভাবে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার দেশে আইনের শাসন সমুন্নত রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাজধানীর যানজট নিরসনে গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা হবে। আমরা যখনই সরকারে আসি তখনই গণপরিবহণ ব্যবস্থার ওপর জোর দেই। বিএনপি-সরকার ক্ষমতায় এসে বিআরটিসিসহ গণপরিবহণ ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছিল। কারণ বিআরটিসি লাভজনক নয়। আমরা ক্ষমতায় এসে আবার বিআরটিসিকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেই। আমরা ক্ষমতায় এসে অনেকগুলো বিআরটিসি বাস ক্রয় করি। কিন্তু আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত তিন থেকে চারশ বিআরটিসির বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। তাই আমরা গণপরিবহণ যত বেশি চালু করতে পারি সে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। মুজিবুল হক চুন্নুর অপর প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে বৈচিত্য এসেছে। কৃষিজ ও অকৃষিজ উভয় ক্ষেত্রে কর্মকান্ড বহুগুণ স¤প্রসারিত হয়েছে। ফলে গ্রামীণ পরিবারের আয় ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে অকৃষি খাতের অবদান বেড়ে চলেছে। আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো- সকল গ্রামে শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা পৌঁছে দেয়া। প্রতিটি গ্রামে আধুনিক নগর সুবিধা স¤প্রসারণ বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অন্যতম নির্বাচনী অঙ্গীকার। এ অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার গ্রাম কেন্দ্রিক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।