পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১০ মার্চ উন্মোচন হচ্ছে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু। সেতুটির নির্মাণকাজ প্রায় শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে মাসখানেক আগেই। আগামী ১০ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেতুটির উদ্বোধন করবেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ তথ্য জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সেতুমন্ত্রী বলেন, জুন মাসে মেঘনা ও গোমতী ২য় সেতু উদ্বোধন করা হবে। এগুলো উন্মুক্ত হলে দীর্ঘ দিনের যানজটের অবসান হবে। জ্বালানি তেল খরচ যেমন কমবে তেমনি সময়েরও সাশ্রয় হবে, কমবে দূরত্ব। সচল হয়ে উঠবে দেশের অর্থনীতির চাকা।
সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্রগ্রাম ও প্রধান সমুদ্র বন্দরের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ করার জন্য ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল সুগম করতে মহসড়কটি দুই লেন থেকে চার লেনে উন্নীত করা হয়। কিন্তু চার লেনের সুফল পাওয়ার আগেই যানজটের যন্ত্রণায় সব ম্লান হয়ে যায়। অর্থনীতিতে বিরুপ প্রভাব পড়তে থাকে। বেশ চার লেনে উন্নীত হওয়ার পর থেকেই কাঁচপুর, মেঘনা এবং মেঘনা-গোমতী সেতু দিয়ে এক লেনে যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে যানজট লেগেই আছে। তার উপর সেতুগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। এই তিনটি সেতুর কারনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কটি যানবাহন চলাচল ও মালামাল পরিবহণের জন্য মোটেও উপযোগী নয়।
সড়ক বিভাগ সূত্র জানায়, ঝুঁকির মুখে থাকা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিদ্যমান এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর পাশেই মহাসড়কে জনদুর্ভোগ কমাতে আরও তিনটি সেতু নির্মাণের লক্ষ্যে ২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে ঠিকাদারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে সড়ক বিভাগ। ২০১৬ সালে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতু নির্মাণের দৃশ্যমান কাজ শুরু হয়। ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদকাল হলেও কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর কাজ শেষ হয়েছে চলতি বছরের জানুয়ারীর প্রথম সাপ্তাহে।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতুটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। তবে সিলেটের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনকারী ওভারপাসের নির্মাণের কাজ চলছে। দ্বিতীয় কাঁচপুর সেতু নির্মাণ করা হয়েছে জাপান আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার (জাইকা) আর্থিক সহযোগিতা এবং বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে।
সেতু প্রকল্পের প্রকৌশলী আব্দুল হান্নান বলেন, দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলার কারনে কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতুর নির্মান কাজ নির্ধারিত সময়ের আগেই এ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে মহাসড়কে বিদ্যমান ভোগান্তি অনেকটাই নিরসন হবে। এদিকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সড়কপথের যোগাযোগ যুগোপযোগী, সহজ, দ্রুত ও যানজটমুক্ত করতে দেশের অর্থনীতির লাইফলাইন হিসেবে পরিচিত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাঁচপুর দ্বিতীয় সেতটি খুলে দিলে ঢাকা-চট্টগ্রামের ভ্রমণ সময় অনেক কমে আসবে। দীর্ঘ সময়ের পরিবর্তে মাত্র ৪ ঘণ্টায় এ পথের দূরত্ব অতিক্রম করা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন। এ ছাড়া এতে যানজট লাঘবের পাশাপাশি দুর্ঘটনা নূন্যতম পর্যায়ে নেমে আসবে। পাশাপাশি আমদানি-রপ্তানি পণ্য পরিবহন সহজতর, সাশ্রয়ী হবে বলেও আশা করছেন এ সড়কে চলাচলরত ব্যবসায়ী ও চালকরা।
সেতু বিভাগ সূত্রে আরো জানা যায়, মূলত পাঁচটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ‘কাঁচপুর, মেঘনা ও গোমতি দ্বিতীয় সেতু নির্মাণ’ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। এগুলো হলো, ঢাকা-চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়কে ক্রমবর্ধমান যানবাহনের সংকুলান করা, রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত করা, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সাধন করা, প্রকল্প এলাকায় আর্থ-সামাজিক কর্মকান্ড উন্নত করা এবং সকলের জন্য নিরাপদ ও সাশ্রয়ী সড়ক ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, তিনটি সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে বর্তমান সেতুগুলোর মেরামত কাজে হাত দেওয়া হবে। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, এই তিনটি সেতুর মেরামতেও অন্তত এক বছর সময় লাগতে পারে। সংশ্লিষ্টরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, পুরোনো তিন সেতু মেরামতের পর নতুন তিনটির সঙ্গে যান চলাচলে যুক্ত হলে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যোগাযোগব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। কমে যাবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়ার সময়। বর্তমানে তিন সেতুতে কমপক্ষে তিন ঘণ্টা সময় বেশি লাগে। সেই সময় অনায়াসে কমে মাত্র সাড়ে তিন ঘণ্টায় ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়া যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।