Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভালো ঋণগ্রহীতারা প্রণোদনা পাবেন

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নিয়মিত ব্যাংকঋণ পরিশোধকারীদের জন্য প্রণোদনা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে ভালো ঋণগ্রহীতাদের আর্থিক ও নৈতিক প্রণোদনা দেয়ার সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। খেলাপি ঋণের সংস্কৃতি থেকে ব্যাংকিং খাতকে বের করে আনা ও বিনিয়োগ উদ্বুদ্ধ করতে এ সুপারিশ করা হয়েছে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ভালো ঋণগ্রহীতাদের আরো কী ধরনের প্রণোদনা দেয়া যায়, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতামত চায়। বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে ভালো ঋণগ্রহীতাদের জন্য একগুচ্ছ আর্থিক ও নৈতিক প্রণোদনা দেয়ার সুপারিশ করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, যারা ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন, তাদের আর্থিক ও নৈতিক দুই ধরনের প্রণোদনা দেয়া যেতে পারে। আর্থিক প্রণোদনার মধ্যে নতুন ঋণের সুদহার নির্ধারণে বিশেষ সুবিধা দেয়া যায়। তাদের বিশেষ কর সুবিধাও দেয়া যেতে পারে। আর নতুন কারখানা স্থাপন করলে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও টেলিফোন সংযোগ দেয়ার ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেয়া যেতে পারে। এছাড়া এ ধরনের গ্রাহকদের ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে বিশেষভাবে রিওয়ার্ড পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট সুবিধা দেয়া যেতে পারে।

অন্যদিকে, নৈতিক প্রণোদনা হিসেবে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বিশেষ সম্মাননা, নাগরিক সুবিধায় অগ্রাধিকার, সরকারি পরিবহন ব্যবহারে বিশেষ সুবিধা, ব্যাংক থেকে বিশেষ কার্ড দেয়া, সিআইবিতে স্ট্যান্ডার্ড গুড বরোয়ার হিসেবে রিপোর্ট করা, ব্যাংক থেকে চিঠি বা এসএমএস পাঠানোর সময় বিশেষ সম্বোধন ব্যবহার ও ভালো ঋণগ্রহীতাদের নিয়ে ব্যাংকের বিশেষ ম্যাগাজিন বা বুকলেট প্রকাশ করার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক ভালো ঋণগ্রহীতাদের জন্য সুদে ছাড় দেয়ার সুবিধা দেয়। উন্নত ঋণ সংস্কৃতি গড়ে তুলতে শর্তসাপেক্ষে এ উদ্যোগ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ-সংক্রান্ত সার্কুলারে বলা হয়, কোনো ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসাব ধারাবাহিকভাবে তিন বছর অশ্রেণীকৃত-স্ট্যান্ডার্ড অবস্থায় থাকলে ও ঋণের মঞ্জুরি বা নবায়নপত্রের শর্ত অনুযায়ী ওই ঋণ হিসাবের লেনদেন সন্তোষজনক হলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহক ভালো ঋণগ্রহীতা হিসেবে বিবেচিত হবেন। এ ধরনের ঋণগ্রহীতা কোনো ঋণ টানা তিন বছর পরিশোধ করলে ওই ঋণ হিসাবে যে পরিমাণ সুদ পরিশোধ হবে, তার ১০ শতাংশ ফেরত পাবেন। এরপর প্রতি বছর ১০ শতাংশ হারে ফেরত পাবেন।

এর আগে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ভালো ঋণগ্রহীতাদের জন্য রেমিট্যান্স অ্যাওয়ার্ডের মতো অ্যাওয়ার্ড চালু করা, কম সুদে ঋণ দেয়া ও গ্রাহকদের ব্যাংকিং করার জন্য লাইভলেন্ড অ্যাপ ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়। এ প্রস্তাবগুলো উন্নত ঋণ সংস্কৃতি চালুর ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ