প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : স্থায়ী উল্কি আঁকা হারাম। মুসলিম হিসাবে খোদাদত্ত ত্বক ছিদ্র বা খোদাই করা হারাম। পশ্চিমারা এসব করে, মুসলমান এসব করতে পারে না। বিবেকবান অমুসলিমরাও এসব করে না। রোনালদো একজন বিখ্যাত খেলোয়াড়। উল্কি করার কারণে বিপদগ্রস্থকে রক্ত দেয়া যাবে না শুনে তিনি উল্কি আঁকা থেকে তওবা করেছেন। একজন অমুসলিমের যদি এমন মানবিক সিদ্ধান্ত হতে পারে, তাহলে মুসলমান কী করে উল্কি আঁকাতে পারে। তথ্য নিয়ে দেখুন, স্বঘোষিত ব্যভিচারীরা নারী পুরুষেরা তাদের শরীরে নানাস্থানে নানাভাবে স্থায়ী উল্কি আঁকে। মনে করা যেতে পারে যে, জাহান্নামের যাত্রীরাই উল্কির বেশি ভক্ত। কোনো মুসলমান উল্কি না আঁকুক। সব মুসলমান এটাই চাওয়া হতে হবে। প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি ছেলেরা বর্তমানে মাথায় একধরনের ছাঁট দেয়, চারপাশ থেকে চুল ছোট করে কিংবা কামিয়ে কোথাও কোথাও লম্বা চুল রেখে দেয়, এমন করাও হারাম। মহানবী সা. এমন করতে নিষেধ করেছেন। সুন্নাহর নির্দেশনা ছাড়া যাচ্ছেতাই করে সৃষ্টিগত ও প্রকৃতিগত স্বাভাবিকতা বিনাশ মুসলমানের শরীয়তে জায়েজ নেই।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।