পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের বোরিং কার্যক্রম উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ রোববার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এর পর পরই তিনি টনেলের খনন কাজ পরিদর্শন করেন।
কর্ণফুলীর তলদেশে নির্মাণাধীন প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার এই টানেল উপমহাদেশের কোনো নদীর তলদেশে প্রথম টানেল। এটির নাম দেওয়া হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল। এর দৈর্ঘ্য হবে ৩ দশমিক ৪ কিলোমিটার।
নদীর তলদেশ দিয়ে দুটি টিউবে চারলেন টানেল সড়ক নির্মাণ করা হবে। টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে সাড়ে ৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক থাকবে। উভয় পাশের সংযোগ সড়কসহ মোট দৈর্ঘ্য হবে ৯ দশমিক ৩৩ কিলোমিটার। ইতোমধ্যে প্রকল্পটির ২৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, বাইরের কাজ প্রায় গুছিয়ে আনার পর টানেলের মূল বোরিং কাজ শুরু করা হচ্ছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশের মাটি থেকে কমপক্ষে ৩৬ ফুট থেকে ১০৮ ফুট পর্যন্ত গভীরে গিয়ে বোরিং করে পৃথক দুটি টিউব স্থাপন করে টানেল নির্মাণ করা হবে। একেকটি টিউবের চওড়া হবে ৩৫ দশমিক ৪৩ ফুট এবং উচ্চতা হবে ১৫.৭৪ ফুট। একটি টিউবে দুটি স্কেল বসানো থাকবে, সেই স্কেল দিয়ে দুই লেনে গাড়ি চলাচল করবে। একই রকমভাবে আরেকটি টিউব থাকবে। দুটি টিউবের মাঝে কমপক্ষে ৩৬ ফুটের ব্যবধান থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, টানেল বোরিং মেশিন (টিবিএম) তিনতলা ভবনের সমান উচ্চতার। এটি গত জুলাই মাসে চীন থেকে আনা হয়। পৃথক অংশে ভাগ করে আনা এই মেশিন কর্ণফুলী নদীর পাড়ে পুনরায় জোড়া লাগিয়ে স্থাপন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে টিবিএম মেশিনের পরীক্ষা-নিরীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে।
কর্ণফুলীর এ পাড়ে নেভাল একাডেমির পাশ থেকে নদীর অপর পাড়ের সিইউএফএল এবং কাফকোর মাঝ বরাবর গিয়ে টানেল উঠবে। এই টানেলই চট্টগ্রামকে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তোলার অপার এক সম্ভাবনা তৈরি করবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।