পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকা চকবাজারে আগুনে দগ্ধদের সব দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর রাখছেন। রাজধানীর চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের পর দেশবাসী গভীর উৎকণ্ঠায় ছিলেন। চকবাজারের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট্র মন্ত্রণালয় গুলোকে। হতাহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা ও ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করারও নির্দেশ দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে কোন সময় আগুনে দগ্ধদের দেখতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে যাবেন বলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গতকাল চকবাজার ট্রাজেডির পেছনে সরকারি সংস্থার কোনো অবহেলা ছিল কি না তা খতিয়ে দেখতে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় গঠিত তদন্ত কমিটি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ইনকিলাবকে বলেন, পুরান ঢাকা থেকে কমিক্যাল গোডাউন সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওবায়দুল কাদের বলেন, সিলিন্ডারের ব্যাপারে আমার মন্ত্রণালয়ের সচিবকে পরামর্শ দিয়েছি, বিআরটিএকে একটা সমাধানে পৌঁছার জন্য। আমি এটাও বলেছি, সিলিন্ডার যেহেতু এত বিপজ্জনক অবস্থানে পৌঁছেছে সুতরাং এ সিলিন্ডার ব্যবহার না করাই ভালো। কাজেই এ সিলিন্ডার বন্ধ করার ব্যাপারে সচিবকে পরামর্শ দিয়েছি। এটা আমার মনে হয় অচিরেই একটা ব্যবস্থা হবে।
মন্ত্রী বলেন, যেটা হয়ে গেছে এবং যারা চলে গেছে, ক্ষয়ক্ষতি যা হয়ে গেছে সেটা তো আর ফেরত পাওয়া যাবে না। এখন ভুল থেকে শিক্ষা নিতে হবে। সেটা আরও আগে করা উচিত ছিল, করা হয়নি, চেষ্ট ছিল। কিন্তু এটা এমন একটা ঘনবসতিপূর্ণ ঘিঞ্জি এলাকা, এখানের কেমিক্যাল গোডাউনগুলো আবার ভেতরে ভেতরে এসে জায়গা নিয়ে ফেলেছে। এটা একটু মনিটরিং করলে হয় তো এড়ানো যেত। তিনি বলেন, যেটা ভুল এটা সংশোধন করে নতুন করে পথ চালার বিকল্প কিন্তু নেই। এখন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন, যত দ্রæত সম্ভব কেমিক্যাল গোডাউনগুলো সরিয়ে নেয়ার জন্য। মেয়র এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন, শুরু করেছেন। প্রকাশ্যে মিডিয়ার সামনে বলেছেন। তিনি বলেন, আশা করি মেয়র সাহেব কালবিলম্ব না করে পদক্ষেপ নেবেন। এখানে যারা নিহত হয়েছেন তাদের পরিবার পরিজনের অনেকে সামর্থবান ব্যক্তি, টাকা পয়সা দিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া যাবে না। তারপরও এ ব্যাপারে সরকার মানবিক, আর্থিক সাহায্য পুনর্বাসন এ ব্যাপারে যা যা করণীয় প্রধানমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন। কবে নাগাদ কেমিক্যাল গোডাউন বন্ধ হতে পারে এবং কোন কোন কেমিক্যালের গোডাউন বন্ধ হচ্ছে।
তিনি বলেন, এখানে কেমিক্যালের যে গোডাউনগুলো আছে, অনতিবিলম্বে সেগুলো সরিয়ে নিতে হবে। এখানে রাখা যাবে না। এ ব্যাপারে কোনো প্রকার গাফিলতি আরও বড় ক্ষতি ডেকে আনবে। দিনক্ষণ এভাবে বলা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী যেখানে নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে দিনক্ষণের কী আছে?’
সেতুমন্ত্রী বলেন, কোন কেমিক্যাল ক্ষতিকর কোনটা না সেটা মেয়র দেখবেন, ঝুঁকিপূর্ণ বা ক্ষতিকর কেমিক্যাল আছে বা অন্যান্য ক্ষতিকর কেমিক্যাল সেটা বিশেষজ্ঞরা জানেন, সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে কোনো প্রকার বিলম্ব করা যাবে না।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, আগুনে আহতদের যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে এবং নিহতদের পরিবারকে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। দুই একদিনের মধ্যে তিনি আগুনে দগ্ধদের দেখতে যেতে পানে।একুশের প্রহরে পুরান ঢাকায় যে ঘটনা ঘটেছে তা অন্তত হৃদয়বিদারক। এটি মেনে নেয়া কঠিন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও রাতভর উদ্ধার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন। এখনো করছেন।
বুধবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চুড়িহাট্টা শাহী মসজিদের পেছনের একটি ভবন থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে স্থানীয়রা জানান। পরে তা পাশের ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। সর্বশেষ রাত ৩টার দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন ফায়ার সার্ভিসের প্রায় ২০০ কর্মী। তবে ছোট গলি ও পানির স্বল্পতার কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রচন্ড বেগ পেতে হয়। অগ্নিকান্ডে এ পর্যন্ত ৬৭ জন প্রাণ হারায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।