পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুরান ঢাকার চকবাজার ট্র্যাজেডির দায় সরকার এড়িয়ে যেতে পারে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। কাদের বলেন, সরকার নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে না। একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তার জন্য কাজ করছে। চকবাজারে আগুনে দগ্ধদের সব দায়িত্ব নিয়েছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিনিয়ত তাদের খোঁজখবর রাখছেন।
গতকাল শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে অগ্নিকান্ডে দগ্ধদের দেখতে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, পুরান ঢাকায় যারা রাসায়নিক গুদাম বন্ধে বা সরানোর দায়িত্বে ছিলেন, নিশ্চিত তাদের অবহেলা রয়েছে। আমি মনে করি তাদের জবাবদিহির প্রয়োজন আছে। ওই এলাকার রাসায়নিক গুদাম বন্ধে সরকার কঠোর হচ্ছে। মন্ত্রী বলেন, এখানে জীবিকার চেয়ে জীবনের ঝুঁকি বেশি। তাই এখানে কেমিক্যাল গোডাউন থাকতে দেওয়া হবে না। কাদের বলেন, এ ঘটনায় সরকার দায় এড়াতে পারে না। নিমতলির ঘটনার পর কেমিক্যাল গোডাউন সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ক্লোজ মনিটরিংয়ের অভাব ছিল। তাই এখানে আবার গোডাউন করা হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, গাড়িতে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিপজ্জনক ঘটনা ঘটাচ্ছে। সিলিন্ডার ব্যবহার না করাই ভালো। এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি। গাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার ব্যবহার না করার বিকল্প ভাবা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যাতে কেমিক্যাল গোডাউন না থাকে। এছাড়া বিএনপিকে এ ধরনের মর্মান্তিক দুর্ঘটনাকে পুঁজি করে রাজনীতি না করার আহŸান জানান ওবায়দুল কাদের। এসময় নিহত মধ্যে নয় জনকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এক লাখ টাকা দেন সেতুমন্ত্রী। এছাড়া সংসদ সদস্য হাজী সেলিমও আহতদের দেখতে ঢামেকে আসেন এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা করে অনুদান প্রদান করেন। এবং এই চেক আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কাছে হস্তান্তর করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পুরান ঢাকার চকবাজারে আগুনের ঘটনায় আমরা ইতিমধ্যে সিটি করপোরেশনের মেয়র ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি, অবৈধ কেমিক্যাল গুদাম এবং রাসায়নিক বিক্রি করে এমন দোকান চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনতে। যে কোনো মূল্যে এগুলো সরাতে হবে। এমন দুর্ঘটনা শুধু কেমিকেল গোডাউনের কারণেই হচ্ছে না। একই সঙ্গে সিলিন্ডার বিস্ফোরণের মধ্য দিয়েও ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
তিনি বলেন, আমি ইতিমধ্যে আমার মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বলেছি-সিলিন্ডার গ্যাস ব্যবহার বন্ধ করে কীভাবে বিকল্প উপায় করা যায় তা বের করতে। কারণ সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ব্যাপক প্রাণহানিসহ ক্ষতি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।