Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজধানীর পল্টনের ডাস্টবিন থেকে গুলি-গ্রেনেড উদ্ধার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

রাজধানীর পল্টনের বক্সকালভার্ট রোড এলাকার একটি ডাস্টবিন থেকে গুলি ও তাজা আর্জেস গ্রেনেড উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকজন টোকাই ডাস্টবিনে এগুলো দেখতে পায়। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রেনেডটি নিস্ক্রিয় করেন। গুলিগুলো পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ৫৫ রাউন্ড গুলি ও তাজা গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। থানা পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশও বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। কারা এসব গুলি ও গ্রেনেড এনেছিল এবং কিভাবে আসলো তা উদ্ধারে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।
পল্টন থানার ওসি মাহমুদুুল হক দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, রোববাররাত সাড়ে ১১ টার দিকে কয়েকজন টোকাই ডাস্টবিনে গ্রেনেড আর গুলি দেখে টহল পুলিশকে খবর দেয় এবং টহল পুলিশ থানাকে বিষয়টি অবহিত করে। এরপর ডাস্টবিনে গ্রেনেড দেখে বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেয়া হয়। ওই ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কারা গ্রেনেড ও গুলি ফেলে গেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ সুযোগ পেয়ে এখানে এসব গুলি ও গ্রেনেড ফেলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের কাজ চলছে। তদন্ত করে জড়িতদের বের করা হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এডিসি রহমতুল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, পল্টন থানা পুলিশের দেয়া খবর পেয়ে গত রোববার রাত সাড়ে ১২ টার দিকে পল্টনের বক্সকালভার্ট রোড এলাকার একটি ডাস্টবিন গিয়ে একটি গ্রেনেড নিস্ক্রিয় করা হয়। যা ছিল একটি আর্জেস গ্রেনেড। একটু পুরানো হলেও এটি তাজা ও শক্তিশালী ছিল। আমাদের মনে হয়েছে কিছুদিন আগে এটি কেউ ফেলে রেখে গেছে। গ্রেনেডের পাশাপাশি ওই ডাস্টবিন থেকে বিপুল পরিমাণ গুলি পাওয়া যায়। সেগুলোর মধ্যে ২৮টি একে ফোর্টিসেভেন রাইফেলের গুলি, ৮টি নাইন এমএম পিস্তলের গুলি ও ১৯টি শর্টগানের গুলি। যার প্রত্যেকটির গায়ে মেড ইন পাকিস্তান লেখা রয়েছে। এমনকি গ্রেনেডটির গায়েও মেইড ইন পাকিস্তান লেখা ছিল।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অপর একজন কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গুলি ও গ্রেনেড পুরনো হলেও এগুলো মুক্তিযুদ্ধের সময়কার নয়। আর্জেস গ্রেনেডটি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় ব্যবহৃত গ্রেনেডের মতো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ