পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি একেবারে শুরু থেকেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য একটি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিল। যদিও বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল, কিন্তু তারা জানতো তাদের জনপ্রিয়তায় ধস নেমেছিল, নির্বাচনে জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই তারা সবসময় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চেয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার জার্মানির মিউনিখে স্থানীয় সময় রাতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার এই প্রথম বিদেশ সফর করেন এবং মিউনিখে সিকিউরিটি কনফারেন্সে যোগ দেন।
গত সাধারণ নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের কারণ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে মাত্র ২৮টি আসনে জিতেছে, সেই নির্বাচনের স্বীকৃতি সম্পর্কে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। তিনি আরো বলেন, ২০০৮ এর চেয়েও ভাল ফলাফলের আশা তারা কীভাবে করে? গত কয়েক বছরে ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে বিএনপি রাজনৈতিক আন্দোলনের নামে সারা দেশজুড়ে যে সব সন্ত্রাসী তান্ডব চালিয়েছিল জনগণ তা ভুলে যায়নি। তিনি বলেন, বিএনপি পরাজয়ের বিষয়টি আঁচ করতে পেরেছিল, তারা নির্বাচনে জয়লাভের জন্য আন্তরিক ছিল না, তাই হেরেছে, এটাই বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়া এতিমদের অর্থ আত্মসাৎ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন এবং তারেক জিয়া ১০ ট্রাক অস্ত্র ও গোলাবারুদ চোরাচালান মামলার পাশাপাশি গ্রেনেড হামলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। সুতরাং, বড় প্রশ্ন হচ্ছে নির্বাচনে কেন মানুষ তাদেরকে ভোট দেবে? এ ছাড়া, বিএনপি তাদের দলীয় নির্বাচনী প্রতীক ধানের শীষে জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীকে প্রার্থী হিসেবে ভোট করতে দেয়ায় জনসমর্থন হারিয়েছে এবং এটিও তাদের পরাজয়ের জন্য অন্যতম প্রধান কারণ।
জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ইমতিয়াজ আহমেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, সর্ব ইউরোপীয় আওয়ামী লীগ সভাপতি অনিল দাশগুপ্ত এবং আওয়ামী লীগ ইউকে চ্যাপ্টারের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ। ইউরোপিয়ান দেশগুলোর বিভিন্ন চ্যাপ্টারের আওয়ামী লীগ নেতারা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি জনগণের কাছে এটি স্পষ্ট করতে পারেনি যে তারা নির্বাচনে বিজয়ী হলে কে হবেন প্রধানমন্ত্রী, কে সরকার গঠন করবেন।
প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে বিএনপি’র ভরাডুবির জন্য অন্যতম কারণ হিসেবে মনোনয়ন বাণিজ্যকে দায়ী করে বলেন, বিএনপি প্রতিটি আসনে অন্তত তিনজন অথবা আরো বেশি প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। এছাড়া তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করার বদলে নির্বাচনী প্রচারণায় বিএনপি আওয়ামী লীগের সমালোচনায় ব্যস্ত ছিল বেশি। তবে জনগণ ভালো করেই জানে আওয়ামী লীগ জনগণকে কি দিতে পারে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে উন্নত জীবন দিয়েছে। আওয়ামী লীগের শাসনকালে জনগণের মাসিক আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তারা শান্তিতে বসবাস করছে। তাদের জীবনযাত্রার মান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, জনগণ তাও বুঝতে পেরেছে। অন্যদিকে আমরা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে গুরুত্ব দিয়েছি, ভবিষ্যতে আমাদের দেশকে কিভাবে দেখতে চাই সেই বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দিয়েছি। আমাদের অতীতের উন্নয়ন জনগণের যথেষ্ট কাছে দৃশ্যমান এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহারে তুলে ধরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ স্বাধীনতা এনেছে এবং ‘মাতৃভাষা’র কথা বলার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে, কেউ এই অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করতে পারবে না না। আওয়ামী লীগ এখন দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, এখন বিএনপি এবং তাদের মিত্র ঐক্যফ্রন্ট ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং দেশের সাত জায়গায় মামলা করেছে। আইন অনুযায়ী তারা নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে পারে এবং এতে আওয়ামী লীগের কোনো আপত্তি থাকবে না। তিনি আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার গোয়েন্দাদের মাধ্যমে ধীরে ধীরে বিএনপি নেতাদের দুর্নীতি প্রকাশিত হচ্ছে। খালেদা জিয়া এবং তার পুত্রের বিরুদ্ধে মামলার তাদের ডকুমেন্ট প্রধান প্রমাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।