Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এটি আমার শেষ মেয়াদ : শেখ হাসিনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

আর প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমার শেষ মেয়াদ। আর প্রধানমন্ত্রী হব না। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, নতুনদের হাতে দায়িত্ব তুলে দিতে চাই। গতকাল বৃহস্পতিবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশ করেছে ডয়চে ভেলে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ডয়চে ভেলের প্রধান সম্পাদক ইনেস পোল ও এশিয়া বিভাগের প্রধান দেবারতি গুহ।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। ফলে টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তিনদিনের সফরে জার্মানিতে আছেন।
ডয়চে ভেলের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয় তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনার বিষয়ে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমার তৃতীয় মেয়াদ। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী হয়েছি (১৯৯৬-২০০১)। সব মিলিয়ে চতুর্থবার। আমি আর প্রধানমন্ত্রী হতে চাই না। একটা সময়ে এসে সবারই বিরতি নেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। যেন তরুণ প্রজন্মের জন্য জায়গা করে দেয়া যেতে পারে।
সাক্ষাৎকারে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার বিষয়েও তার অবস্থান জানতে চাওয়া হলে প্রধানমন্ত্রী তা অস্বীকার করে বলেন, যত কাজ করবেন, তত সমালোচনা শুনবেন। আপনি আমার দেশের মানুষকে প্রশ্ন করুন, তারা সন্তুষ্ট কিনা; তাদের যা যা প্রয়োজন, সব পাচ্ছে কিনা, কিংবা আমি সব দিতে পারছি কিনা। তিনি বলেন, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তিনি তা নিশ্চিতে পদক্ষেপও নিয়েছেন। বাংলাদেশ বহু বছর ধরে সামরিক শাসনের অধীনে ছিল। তখন দেশ একটি মাত্র টেলিভিশন চ্যানেল চলত, যা ছিল রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তিনি বেসরকারি খাতে টেলিভিশন চ্যানেল চালুর অনুমতি দেন।
সম্ভাব্য শেষ মেয়াদে দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইকেই অগ্রাধিকার দিতে চান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান এসব মৌলিক চাহিদা। প্রত্যেক মানুষই তার অবস্থার উন্নতি ঘটাতে চায়। আমাদের সেটাই নিশ্চিত করতে হবে।
আওয়ামী লীগ বিরোধীদের জন্য রাজনীতির মাঠ সঙ্কুচিত করে রাখা এবং একদলীয় শাসনব্যবস্থা কায়েমের অভিযোগ অস্বীকার করে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের ভোটের মাধ্যমেই তো ক্ষমতায় আসা, সেটা একদলীয় হয় কী করে? আর দ্বিতীয় কথা হচ্ছে যে, ২০০৮-এ যে নির্বাচন হয়েছিল, সে নির্বাচনেও ৮৪ ভাগ ভোট পড়েছিল। এবার তো ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে। তখন বিএনপি-জামাত জোট পেয়েছিল মাত্র ২৮টি সিট। এবার ইলেকশনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২৬০টি সিট (৩০০টির মধ্যে)। বাকি সব অন্য দলগুলো পেয়েছে। সেখানে দল তো আছেই। বিরোধীদলকে দুর্বল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন কোনও দল যদি তাদের কর্মসূচি নিয়ে জনগণের কাছে না যেতে পারে, জনগণের বিশ্বাস, আস্থা অর্জন করতে না পারে, আর যদি ভোট না পায়, সে দায়-দায়িত্ব কার? সে তো ওই দলগুলোর দুর্বলতা।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাওয়াকে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান বলে মনে করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই এই দীর্ঘস্থায়ী সমাধানে যেতে চায় বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে ভারত ও চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও ভ‚মিকা রাখতে পারে। তিনি আরো বলেন, আমরা কিন্তু মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে চাই না। আমাদের সঙ্গে একটা চুক্তিও হয়েছে, তারা ফেরত নিয়ে যাবে। চীন ও ভারতের সঙ্গেও আমরা কথা বলেছি এবং মিয়ানমারের সঙ্গে যে পাঁচটি দেশের সীমান্ত আছে, চীন, বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড ও লাওস। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেছি, কীভাবে এই সমস্যা সমাধানে তাদের কাজ করা উচিত।



 

Show all comments
  • Mohammed Kowaj Ali khan ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৪:৩৬ এএম says : 0
    প্রধানচুর হিসাবে সব শেষ। এখন গজবের পালা। কত মায়ের কুল তুমি করিয়াছ খালি পাকহানাদার আর তুমি। যাও যাও তুমার উপরে আল্লাহ তা'আলার গজব। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Engr Amirul Islam ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৬:৩৪ এএম says : 0
    This is 500 percent lie.
    Total Reply(0) Reply
  • Nannu chowhan ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৮:২৭ এএম says : 0
    Tarpor ke Mr.Joy Na sk. Rehana?
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৯:০৪ এএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর প্রধানমন্ত্রী হবেন না এটা তিনি ঘোষনা দিলেন, এরমানে হচ্ছে আগামী বার আমরা একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী দেখতে পাবো। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে এখনও কি আওয়ামী লীগে এমন কোন নেতা এসেছেন বা আছেন যিনি তার যায়গায় বসার যোগ্যতা রাখেন। আমার মনে হয় নেত্রীর এই কথাটা বলার আগে আরো একবার ভাবা দরকার ছিল। আল্লাহ্‌ সবই জানেন, আল্লাহ্‌র ইচ্ছাতেই ভাল কাজ হয়ে থাকে এটাই সত্য।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ