Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

মেনন-শহিদের স্ত্রীও এমপি হচ্ছেন

নারী আসনে ৪৯ জনের মনোনয়নপত্র ইসিতে জমা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৩৮ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র এমপিদের জোটের ৪৯ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল সোমবার আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ৪৩ জনের মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টির ৪ জন, ওয়াকার্স পার্টির একজন, স্বতন্ত্র একজন প্রার্থী রিটার্নিং কর্মকর্তা ইসির যুগ্মসচিব আবুল কাসেমের কাছে মনোনয়পত্র জমা দেন। এ সময় নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ উপস্থিত ছিলেন। সংরক্ষিত আসনে রাশেদ খান মেননের স্ত্রী ও লক্ষিপুর থেকে নির্বাচিত স্বতন্ত্র এমপির স্ত্রীও মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ৫০টি সংরক্ষিত আসনের মধ্যে বিএনপির কেউ শপথ না নেওয়ায় তাদের পক্ষ্যে কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দেয়নি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মঙ্গলবার এসব মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই করা হবে। ১৬ ফেব্রুয়ারি প্রত্যাহারের শেষ দিন রয়েছে। একক প্রার্থী থাকায় আগামী শনিবারই তাদের ‘বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত’ নাম ঘোষণা করা হবে। সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট গ্রহণের তারিখ ৪ মার্চ নির্ধারিত থাকলেও আসন সংখ্যার সমান প্রার্থী হওয়ায় ভোটাভুটির প্রয়োজন হবে না।
আওয়ামী লীগের ৪৩ জন, ঢাকা থেকে শিরীন আহমেদ, জিন্নাতুল বাকিয়া, শবনম জাহান শিলা, সূবর্ণা মোস্তফা ও নাহিদ ইজহার খান, চট্টগ্রাম থেকে খাদিজাতুল আনোয়ার ও ওয়াশিকা আয়েশা খানম, কক্সবাজার থেকে কানিজ ফাতেমা আহমেদ, খাগড়াছড়ি থেকে বাসন্তী চাকমা, কুমিল্লা থেকে আঞ্জুম সুলতানা ও আরমা দত্ত, বাহ্মণবাড়িয়া থেকে উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম, গাজীপুর থেকে শামসুন্নাহার ভূঁইয়া ও রুমানা আলী, বরগুনা থেকে সুলতানা নাদিরা, জামালপুর থেকে মিসেস হোসনে আরা, নেত্রকোণা থেকে হাবিবা রহমান খান (শেফালী) ও জাকিয়া পারভীন খানম, পিরোজপুর থেকে শেখ এ্যানী রহমান, টাঙ্গাইল থেকে অপরাজিতা হক, সুনামগঞ্জ থেকে শামীমা আক্তার খানম, মুন্সিগঞ্জ থেকে ফজিলাতুন রনসা, নীলফামারী থেকে রাবেয়া আলীম, নংরসিদী রথকে তামান্না নুসরাত বুবলী, গোপালগঞ্জ থেকে নার্গিস রহমান, ময়মনসিংহ থেকে মনিরা সুলতানা, ঝিনাইদহ থেকে খালেদা খানম, বরিশাল থেকে সৈয়দা রুবিনা মিরা, পটুয়াখালী থেকে কাজী কানিজ সুলতানা, খুলনা থেকে অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, টাঙ্গাইল থেকে খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, দিনাজপুর থেকে জাকিয়া তাবাসসুম, নোয়াখালী থেকে ফরিদা খানম (সাকী), ফরিদপুর থেকে রুশেমা বেগম, কুষ্টিয়া থেকে সৈয়দা রাশেদা বেগম,মৌলভীবাজার থেকে সৈয়দা জোহরা আলাউদ্দিন, রাজশাহী থেকে আদিবা আনজুম মিতা,চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে ফেরদৌসী ইসলাম জেসী, শরিয়তপুর থেকে পারভীন হক সিকদার, রাজবাড়ী থেকে খোদেজা নাসরীন আক্তার হোসেন, মাদারীপুর থেকে তাহমিনা বেগম, পাবনা থেকে নাদিয়া ইয়াসমিন জলি ও নাটোর থেকে রত্মা আহমেদ।
জাতীয় পার্টির ৪ জন: জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশিদ চৌধুরী, এডভোকেট সালমা ইসলাম, চেয়ারম্যান এর উপদেষ্টা অধ্যক্ষ রওশন আরা মান্নান ও নাজমা আকতার। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে দলটি মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা তাদের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওয়ার্কার্স পার্টি ও স্বতন্ত্রের একটি করে: ওয়ার্কার্স পার্টির প্রার্থী লুৎফুন নেসা খান। তিনি দলটির সভাপতি রাশেদ খান মেননের স্ত্রী। স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম মনোনয়নপত্র জমা দেন। তিনি স্বতন্ত্র এমপি লক্ষীপুর-২ আসনের মোহাম্মদ শহিদ ইসলামের স্ত্রী।

 



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:১৩ এএম says : 0
    বাংলাদেশের পোষাক শিল্পের শ্রমিক ফেডারেশন একছত্র ভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন ওয়ার্কাস পার্টি মানে মেনন সাহেব। সেই হিসাবে ১৪ দল থেকে একজনকে মন্ত্রী বানাতে চাইলে সেটা হচ্ছেন মেনন সাহেব এটাই সত্য। এখন তাকে মন্ত্রী করা যাবেনা এটাই সত্য কারন নেত্রী হাসিনাকে যদি এখন আল্লাহ্‌র ইচ্ছা পুরন করতে হয় তাহলে তাকে তার দলের লোকজনদের বিশেষ করে যাদেরকে তিনি নিজে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তাদের দ্বারাই সরকার গঠন করতে হবে। নেত্রী হাসিনা সেজন্যে এবারের মন্ত্রী পরিষদে তার ইচ্ছা মতো তাদেরকেই বসিয়েছেন যারা ভাল মানুষ মানে উপযুক্ত ও প্রভুভক্ত। তারপরও অভিজ্ঞ ও সিনিয়রদের যাদেরকে নেত্রী সম্মান করতেন তাদেরকে তিনি পূর্বে মন্ত্রী বানাতেন কিন্তু তিনি তাদেরকে পুরন নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন কারন তিনি তাদেরকে সম্মান করতেন। এবার এইজন্যেই নেত্রী হাসিনা ওনাদেরকে এবারের মন্ত্রী পরিষদে রাখেন নি। কারন নেত্রী হাসিনা এবার দেশকে সম্পূর্ণ ভাবে পবিত্র করার জন্যে দুর্নীতি দমন যুদ্ধে নেমেছেন এখানে শুধু তারাই স্থান পাবে যারা নেত্রীকে উপদেশ দিবেন না বরং নেত্রীর নির্দেশে জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত থাকবেন তাদেরকে নিয়েই নেত্রী যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়েছেন এটাই সত্য। তারপরও শুধু মাত্র পোষক শিল্পের কথা বিবেচনায় নিয়ে নেত্রী নীলকন্ঠি (বিষ খেয়ে বিষ হজমের ক্ষমতা সম্পন্ন) সেজে মেননকে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মানে মন্রীরীর সকল সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন আবার তারা স্ত্রীকেও সাংসদ বানিয়ে মেনন মিয়াকে খুশি করলেন। আমার বিচারে ১৪ দলের জাসদের ইনুর চেয়ে মেনন মিয়ার বেশী সুবিধা পাবার কথা নয় তারপরও এই পোষক শিল্প তাকে এই সুযোগ পেতে সাহায্য করছে এটাই সত্য। আমি বলতে পারি এরপরও মেনন মিয়া তলে তলে তার লোকজন দিয়ে উল্টা পাল্টা কাজ করিয়ে যাবেন এটাও সত্য। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে শুধু নামে মুসলমান নয় কথায় এবং কাজেও মুসলমান হবার যোগ্যতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ