Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হতাশায় হেভিওয়েট নেতা ও অনুসারীরা

দক্ষিণাঞ্চলে আ.লীগের রাজনীতি

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষমতাসীন মহাজোটের মূল শরিক দলের ও তাদের অনুসারীদের হতাশা কাটছে না। তবে এবারের মন্ত্রী পরিষদে দল ও মহাজোটের অনেক দাপুটে নেতা ও সাবেক মন্ত্রীকে ঠাঁই না দেয়ায় অবাক হলেও প্রধানমন্ত্রীর দুরদর্শীতা বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।
জানা গেছে, প্রথমবারের মত সংসদ ভবনে প্রবেশ করেই বরিশাল ও পিরোজপুর সদরের দুই এমপি মন্ত্রী পরিষদে ঠাঁই পাওয়ায় অনেক সিনিয়র নেতার অনুসারীরাও চরমভাবে হতাশ হয়েছেন। ফলে এতদিন আওয়ামী লীগসহ মহাজোটের যেসব নেতৃবৃন্দ এবং তাদের অনুসারীরা দল ও জোটের মন্ত্রীসভায় অনিবার্য ভাবতেন, তাদের বর্তমান অবস্থান দক্ষিণাঞ্চলে ক্ষমতার ভারসাম্যতা সৃষ্টি করতে পারে।
বরিশাল সদর অসনের এমপি ও প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফরুক শামিম শপথ নেয়ার পরে এ পর্যন্ত তিনবার এ নগরীতে আসার সময়ই তার কর্মীবাহিনী ছোট বড় মোটর সাইকেলের বহর নিয়ে তাকে নগরীতে নিয়ে এসেছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আমীর হোসেন আমু একবারই নিজ নির্বাচনী এলাকায় আসার সময় প্রায় ৩৬ কিলোমিটার দূরে বরিশাল বিমান বন্দর থেকে বিশাল মোটরবাইকের বহর তাকে ঝালকাঠিতে নিয়ে যায়।
এবারের মন্ত্রীসভায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আমীর হোসেন আমু এবং তোফায়েল আহমদ ছাড়াও সাবেক চীফ হুইপ আবুল হাসনাত আবদুল্লাহ ও আ.স.ম ফিরোজ-এর ঠাঁই না হওয়ায় তাদের ঘনিষ্ঠজন ছাড়াও অনুসারীদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে হতাশা। ব্যাতিক্রম নয় রাশেদ খান মেননের অনুসারীদের মধ্যেও। মন্ত্রী পরিষদে ঠাঁই না মেলার পরে চীফ হুইপ-এর পদটির জন্য আ.স.ম ফিরোজ ও আবুল হাসানাত আবদুল্লাহকে নিয়ে যে ক্ষীণ স্বপ্ন ছিল, তাও দুঃস্বপ্নে পরিণত হওয়ায় চরম হতাশায় ডুবেছেন তাদের অনুসারীরা।
তবে আ.স.ম ফিরোজ-এর গাড়ীতে এবার পতাকা না ওঠায় এলাকায় তার নিজ দলীয় ব্যক্তিগত প্রতিপক্ষ খুশি হয়েছেন। স্ব-স্ব এলাকায় আমীর হোসেন আমু, তোফোয়েল আহমদ ভোলার চরফ্যাশনের আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবেরও এবার মন্ত্রী পরিষদে ঠাঁই না মেলায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা খুশি।
এছাড়া বরিশাল সদর আসনে সদ্য বিদায়ী এমপি জেবুন্নেসা আফরোজও ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে শেষ পর্যন্ত আশায় বুক বেঁধেছিলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের জন্য। কিন্তু সেখানেও তাকে হতাশ হতে হয়েছে। ফলে বরিশাল বিভাগীয় সদরে তার অনুসারীরা এখন কান্ডারীবিহীন। ২০১৪-এর ৫ ডিসেম্বর প্রতিদ্ব›দ্বী না থাকায় শওকত হোসেন হিরন প্রথমবারের মত সংসদ ভবনে প্রবেশ করলেও পনের মাসের মাথায়ই তার অকাল মৃত্যু ঘটে। ফলে উপ-নির্বাচনে স্বামীর শূন্য আসনে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে বিরোধীদলহীন নির্বাচনে এমপি হন জেবুন্নেসা। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর দলের জেলা ও মহানগর পর্যায়ের জোরালো সমর্থন থাকলেও সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে তার মনোনয়ন মেলেনি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ