Inqilab Logo

বুধবার ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উপজেলা পর্যায়েও মাস্টার প্লান ফসলের জমিতে বসতবাড়ি নয়

ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করা হবে : প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চাষযোগ্য জমি রক্ষা এবং ফসলের জমিতে অপরিকল্পিত ভবন, সড়ক ও ঘরবাড়ি নির্মাণ রোধে সব উপজেলা সুনির্দিষ্ট উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় নিয়ে আসার জন্য একটি মাস্টারপ্লান প্রণয়নে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে স্থানীয় সরকারকে আরো শক্তিশালী করা হবে। আগামীতে জেলাভিত্তিক ধারণা নিয়ে মূল বাজেট প্রণয়ন করা হবে।
গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের অর্থ সাশ্রয় ও কৃষি জমি রক্ষায় উপজেলাগুলোতে অপরিকল্পিত উন্নয়ন অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং রাস্তা ও চলাচল পরিকল্পিত হতে হবে। মাস্টারপ্লানের লে-আউটে আবাসন, হাসপাতাল, মার্কেট, স্কুল, কলেজ, খেলার মাঠ, কৃষি খামার, শিল্পকারখানা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা থাকতে হবে। আমরা যদি যথাযথভাবে এটি করতে পারি, তাহলে জনগণ এটি গ্রহণ করবে।
৬০টি জেলা গঠনে বঙ্গবন্ধুর উদ্যোগের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, উন্নয়ন কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে বঙ্গবন্ধু প্রতিটি জেলাকে একটি প্রশাসনিক ইউনিট হিসেবে তৈরি করেন, যাতে তৃণমূল পর্যায় থেকে আমরা উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে এবং সরকারি অর্থের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে স্থানীয় জনগণের চাহিদা পূরণে সরকার পৃথকভাবে প্রতিটি জেলা-উপজেলায় বার্ষিক বাজেট প্রণয়ন করছে। এতে প্রতিটি উপজেলার আকার, জনসংখ্যা এবং ভৌগোলিক সম্ভাবনা বিবেচনায় রাখা হচ্ছে। দেশের উন্নয়নে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালীকরণ, তাদের স্থানীয় সরকার উন্নয়ন উদ্যোগে সম্পৃক্ত করা এবং সব উন্নয়ন টেকসই করার লক্ষ্যে তার সরকার প্রশাসনের বিকেন্দ্রীকরণ করতে চায়। আমরা সর্বোচ্চ বরাদ্দ দিয়েছি এলজিআরডি মন্ত্রণালয়কে। এলজিআরডি মন্ত্রণালয় যদি যথাযথভাবে কাজ করে, তাহলে আমরা ব্যাপক আকারে দারিদ্র্য নিরসন করতে সক্ষম হবো।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা ও অন্যান্য খাতে উন্নয়নের সার্বিক পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। তবে গ্রাম ও শহরে বসবাসকারী মানুষের মৌলিক চাহিদা বিবেচনা করে পরিকল্পনা নিতে হবে। এলজিআরডি একটি বড় মন্ত্রণালয়। এর বাজেট এবং কর্মকান্ডও অনেক বেশি। এ জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে এই মন্ত্রণালয়ের আওতায় অনেক কাজ সম্পন্ন করা হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, চাষযোগ্য সব জমি যেন চাষের আওতায় আসে এবং পল্লীর মানুষের আয় বাড়াতে তারা যেন সমবায় ব্যবস্থায় তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দেশ স্বাধীন করেছেন। কিন্তু তিনি এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে যেতে পারেননি। এ জন্য দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিতে হলে আমাদের পল্লী এবং দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের উন্নয়নে গুরুত্ব দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমবায় আন্দোলনের গুরুত্বের দিক বিবেচনা করে সংবিধানে সরকারি ও বেসরকারি খাতের পাশাপাশি সমবায়ের কথা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু প্রতিটি গ্রামকে পরিকল্পিত গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। যেখানে সুবাসস্থান, খেলার মাঠ, হাসপাতাল, ফসলের মাঠ এবং অন্যান্য নাগরিক সুবিধা থাকবে। এ জন্য আমাদের ভৌগোলিক অবস্থা, আবহাওয়া, জনসংখ্যার দিক বিবেচনা করে নিজস্ব পরিকল্পনা নিতে হবে। তিনি বলেন, তার ১৯৯৬-২০০১ সালের সরকারের মেয়াদে নেয়া অনেক পরিকল্পনা পরবর্তী বিএনপি সরকার বাস্তবায়ন করেনি। কিন্তু ২০০৯ সাল থেকে টানা ১০ বছর জাতির জন্য তার সরকার কাজ করার এবং দেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ার প্রচুর সময় পেয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে কেউই অবহেলা করতে পারবে না। কারণ, বাংলাদেশ ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন করবে।
অনুষ্ঠানে এলজিআরডি ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক এবং মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।



 

Show all comments
  • Shazzadul Islam Sahil ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫১ এএম says : 0
    ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য! 'জনসংখ্যা রোধ ও চাষ জমি রক্ষা' এই দুইটা মোস্ট ভাইটাল ইস্যু দ্রুত কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার!
    Total Reply(0) Reply
  • Aminuzzaman Chowdhury ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    চাষযোগ্য জমি রক্ষায় মহাপরিকল্পনা করা যত তারাতারি সম্ভব করা প্রয়োজন।নচেৎ মানুষের খাদ্য সংকট মোকাবেলা করা প্রায় অসম্ভব।
    Total Reply(0) Reply
  • সাদ বিন জাফর ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    গ্রামের উন্নয়ন অবশ্যই দরকার। পাশাপাশি গ্রামের অতিরিক্ত জনগোষ্ঠীকে শহরে নিয়ে আসতে হবে। পাশাপাশি যারা ইতিমধ্যেই কর্মসূত্রে ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরে ভাড়া বাসায় থাকছে, তাদের নিজস্ব বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। এর জন্য দরকার নতুন একটা শহর। যেমন- পদ্মার পাড়ে একটা অত্যাধুনিক শহর গড়ে তুলতে হবে। ধরুন মানুষকে বলা হলো- আসুন আমরা সবাই মিলে পদ্মার পাড়ে একটা সিঙ্গাপুর বা কুয়ালালামপুর গড়ে তুলি। এখানে ধনীরা বিনা বাঁধায় ফ্রি বিনিয়োগ করতে পারবে (এতে টাকা পাচার বন্ধ হবে)। যত ইচ্ছা টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন। মধ্যবিত্তদের বলা হল- আপনাদের জমি দেবে সরকার, আপনারা শুধু ভাড়ার সমান টাকায় মাসিক কিস্তিতে ফ্ল্যাট কেনেন। বিদেশে কর্মরত আমাদের রেমিটেন্স যোদ্ধাদের বলা হল- আপনাদের সবাই বিনা মুল্যে জমি পাবেন, এছাড়াও ফ্ল্যাট, দোকান কিনলে আরও কিছু ছাড় পাবেন। ধর্মীয় সংখ্যালুঘুদের বলা হল- আপনাদের জন্য একটা জোন করা হবে সেখানে আপনারা সবাই মিলে থাকতে পারবেন, সেখানে থাকবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বাচ্চাদের জন্য স্কুল-কলেজ সব। ডেভেলপারদের বলা হল- আপনাদের দায়িত্ব সবই এক নিয়মনীতি মেনে একই প্যাটার্নে সব ২৫ তলার বিল্ডিং বানান, তাতে থাকবে স্কুল-কলেজ, বাজার সহ সব সুযোগ সুবিধা। প্রতিটা ব্লক হবে কমপক্ষে ৫০ একরের। আর থাকবে একটা খুবই শক্তিশালী প্ল্যানার ও অথরিটি যাদেরকে অমান্য করার যেন কারো সাহস না হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • zulfikar ali sajib ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫২ এএম says : 0
    কৃষক হল কলুর বলদ। প্রতি মণ ধানে উৎপাদনে ২০০-৩০০ টাকা ক্ষতি। কৃষক বান্ধব না হলে কোন মহাপরিকল্পনাই কাজে আসবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Shakib Khan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৩ এএম says : 0
    মহাপরিকল্পনা করিতে করিতেই চাষযোগ্য জমি নিঃশেষ হয়ে যাবে :
    Total Reply(0) Reply
  • সৌভিক আহমেদ ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    সবার আগে পুর্বাচল এবং এর উস্কানিতে গজিয়ে ওঠা হরেক রকম আবাসিক এলাকা বন্ধ করুন। এসব জমি কৃষিকাজের এবং বর্ষার পানি নেমে যাবার। উপশহর বা স্যাটেলাইট টাউনের ধারণাটি গত শতাব্দীর এবং গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে এরকম শহর পরিচালনা অত্যন্ত ব্যয়বহুল, অনেক বেশি প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যয় হয়। সারা বিশ্বে এখন হাই রাইজ ভিত্তিক টেকসই নগরায়ণ চলছে যেখানে প্রাইভেট কার কমিয়ে মেট্রোরেইল কেন্দ্রিক যোগাযোগ ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নগরবাসীকে হাঁটা, খেলা এবং সাইকেল চালানোর জায়গা করে দেয়া হচ্ছে, শহরের ভেতরে জলাশয় ও খাল এর মাধ্যমে মালামাল ও যাত্রী পরিবহণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ১৮৬৪ সালে ঢাকা'র জেলা প্রশাসক ছিলেন ইংরেজ সিভিল সার্ভেন্ট গ্রাহাম গর্ডন। তিনি তার আত্মজীবনীতে ঢাকার বিষয়ে একটি কথা বলেছেন যা প্রণিধানযোগ্য। তিনি লিখেছিলেন, 'ঢাকার অস্তিত্ব এবং বিকাশ নির্ভর করে এর জল, জঙ্গল আর মানুষের সহাবস্থানের ওপর'। আর আজ তো আমরা মানুষের ভীড়ে জল জঙ্গল মাটি সবই শেষ করে দিচ্ছি। আজকেই পত্রিকাতে পড়লাম, ঢাকায় গরুর দুধে সীসা আর টেট্রাসাইক্লিন পাওয়া গেছে যা এসেছে মূলত ঢাকার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলোর দূষিত পানির মাধ্যমে এর চারপাশের এলাকার কৃষিজমি, ঘাস সব বিষাক্ত হয়ে যাবার ফলে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    সর্বোচ্চ বরাদ্দ সর্বেচ্চা কাজে লাগবে স্থানীয় নেতা কর্মী পালনে, ভূমি সংরক্ষণের নামে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazmul Kabir ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    একটি ভালো বিবেচনা। ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply
  • রিদওয়ান বিবেক ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৪ এএম says : 0
    চাষযোগ্য জমির কৃষক প্রয়োজনমতো ঋণ পাচ্ছে না। অথচ দেশে ঋণখেলাপীর অভাব নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • ash ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ৫:৪৮ এএম says : 0
    AMADER BANGLADESHER MOTO ATO NODI ONNO KONO DESH E ASE BOLE MONE HOY NA, KISU KISU NOTO ATO CHOWRA JEMON PODDA, JOMUNA, MEGHNA KINTU E SHOB NODIR GOVIROTA KHUB E KOM (CHOTLA) , PROTI BOSOR NODIR PAR VEGGGE VEGGE NODI CHOWRA HOCHE R NOTUN NOTUN CHOR JAGSE NODIR MAJE, E SHOB CHOTLA MODI ASHOLE KI AMADER KONO WPOKARE ASHE?? NODI GULO KE GOVIR (8-10 MET) KORA WCHITH, CHOWRA KOMIE, ARO ONEK CHOWRA NODI BA KHAL GORA WCHITH, NODIR PAR, (JE VABE AUS, NETHERLAND E KORE) PATLA AK SHUTAR RODER NETER WPORE PATHOR DIE DHALAI KORE 45 DEG ENGLE E WALL TULA, OBOSHO E MATIR AK -DER MITER NICH THEKE GETHE WTHA TE BE, MAJE MAJE 4-5 FUTA KORE DITE HOBE , WPOR THEKE NICHE(DEALER VITORER FUTA WCHUTE PANIR DIKER FUTA NICHE THAKBE, JENO BISTIR PANI BER HOE JETE PRE, PORTI 3-4 METER WALL ER BLOCKER MAJE GULU DIE BONDHO KORE DITE HOBE JENO NODIR PANI NA DUKTE PARE !! AUS E AMON KORE BAD DAY, 30 BOSORE KISU HOY NA NODIR BAD E ( AMI SURE BLOCK DIE AKHON JE BAD DAY TAR CHEA KHOROCH KOM PORBE LAST O ONEK DIN KORBE
    Total Reply(0) Reply
  • শেখ মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১১:৩২ এএম says : 0
    প্রথমেই ধন্যবাদ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহোদয়কে । সাথে সাথে ধন্যবাদ যারা এই বিষয়টি উপস্থাপন ও প্রচার করেছেন। আজ হঠাৎ এই বিষয়টি পত্রিকায় দেখে খুবই খুশি হলাম। কারণ গত 22/01/2019ইং তারিখে আমি আমার ফেইসবুক স্ট্যাটার্সে লেখেছিলাম ““অপরিকল্পিত ঘর-বাড়ী এবং ফসলী ভূমিতে ফিসারী” করার ব্যাপারে- সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি !!! আর আজ 11/02/2019ইং তারিখে তা পত্রিকার মারফত জানতে পারলাম। আমি খুব খুশি এবং তা বাস্তবায়ন হয় এবং দেশের মানুষ উপকৃত হয় তাহলে আরও বেশি খুশি হতাম।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯, ১০:৪৫ পিএম says : 0
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সঠিক নির্দেশ দিয়েছেন, দেশকে উন্নত করতে চাইলে উপজেলাভিত্তিক মাস্টারপ্লান থাকতে হবে। সাথে সাথে সেই মাস্টারপ্লান্টা কিভাবে করতে হবে সেটার উপরও তিনি দিক নির্দেশনা দিয়ে তার দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। কারন ইতিপূর্বে আমরা দেখেছি এরশাদের আমলে উপজেলা কেন্দ্রিক শাসন ব্যবস্থা করার সময় যেসব উন্নয়ন করা হয়েছিল তখন যেনতেন ভাবে অপরিকল্পিত ভাবে প্রয়োজনের অতিরিক্ত যায়গা দখল করে নিয়ে কাজ শুরু করেছিল। এতে করে প্রচুর ফসলি জমি উজার হয়ে গিয়েছিল সেটা এখন হাড়ে হাড়ে টের পাওয়া যাচ্ছে। এখন প্রধানমন্ত্রী এসব বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখা দিয়ে বলেছেন কিভাবে কি করতে হবে। সরকারের আমলা কামলারা যদি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেই মাস্টারপ্লেন করে সেটাকে প্রকৃত ভাবে কাজ করে বাস্তব রূপ দিতে পারে তাহলে দেশ প্রকৃতভাবেই নিজ পায়ে দাড়া হয়েযাবে এটাই সত্য। আমার বিশ্বাস স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রাপ্তমন্ত্রী তাজুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশকে কঠিন ভাবে নিয়ন্ত্রণে রেখে এটাকে বাস্তবায়িত করতে চান তাহলে আমি মনে করি এটা অবশ্যই সম্ভব। কাজেই আজ যে নির্দেশ নেত্রী হাসিনা দিলেন ৫ বছরে অবশ্যই এটা রূপায়িত হবে এবং আমারা একটা সুখি সমৃদ্ধি বাংলাদেশ দেখতে পাব ইনশ’আল্লাহ। আল্লাহ্ আমাকে সহ সকলকেই আল্লাহ্র নির্দিষ্ট পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: প্রধানমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ