পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিদ্যুৎ সংযোগ এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে। বিদ্যুতের জন্য মানুষকে এখন আর ঘোরাঘুরি করতে হয় না। বিদ্যুৎই পৌঁছে যায়।
গতকাল সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুতায়নের কার্যক্রমের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ৬টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ও ১২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
এতে ১০৬২ মেগাওয়াটেরও বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে। একই অনুষ্ঠানে তিনি চট্টগ্রামের সন্দীপ উপজেলায় দেশে এই প্রথম সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ১২টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগের উদ্বোধন করেন। তিনি আরও বলেন, উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে সরকার বদ্ধপরিকর। এর জন্য সুনির্ধারিত পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। ২০২০ সালের মধ্যে আরও বেশি উন্নয়ন ও ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এক উন্নত বাংলাদেশকে দৃশ্যমান করতে কাজ চলছে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনকৃত ৬টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হচ্ছে- সিরাজগঞ্জ ২৮২ মেগাওয়াট সিম্পেল সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, ভোলা ২২৫ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্র, চাঁদপুর ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র, আশুগঞ্জ ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র, খুলনার রুপসায় ১০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং চট্টগ্রামের জুলদা ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র (তৃতীয় ইউনিট)।
নয়টি উপকেন্দ্র হচ্ছে- রামগঞ্জ, বরিশাল (উত্তর), বারইয়ারহাট, শিকলবাহা, জলঢাকা, সুনামগঞ্জ, বিয়ানিবাজার, রাঙামাটি ও মাতারবাড়ি। শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগের আওতায় আসা উপজেলাগুলো হচ্ছে-হরিনাকুন্ড, ঠাকুরগাঁও সদর, বালিয়াডাঙ্গা, গোয়ালন্দ, কালুখালী, বামনা, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ, আজমেরীগঞ্জ, বাহুবল, মেলান্দহ এবং ইসলামপুর।
মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ৩০৬টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ২৬৩টি উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সরবরাহ ইতোমধ্যেই উদ্বোধন করা হয়েছে। অবশিষ্ট ৪৩টি উপজেলা চলতি বছরের জুন নাগাদ উদ্বোধন করা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড.আহমেদ কায়কাউস অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন।
ড. আহমেদ কায়কাউস বলেন, ২০,৮৫৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা অর্জন করায় দেশের ৯২ শতাংশের বেশি জনগণ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে ১শ’ নতুন বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের সুবাদে বাংলাদেশ এখন বিদ্যুৎ ঘাটতির দেশ থেকে বিদ্যুৎ উদ্বৃত্ত দেশে পরিণত হয়েছে।
সাবেক মন্ত্রী এবং সিনিয়র আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ এবং ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ আবদুল্লাহ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, সাবেক উপ-মন্ত্রী আবদুল্লাহ ইসলাম আল জ্যাকব এবং সংশ্লিষ্ট এলাকার সংসদ সদস্যগণ এ সময় গণভবনে উপস্থিত ছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।