পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পুলিশ সদস্যদের জন্য বিভিন্ন ভাতা, ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপন, আলাদা মেডিকেল কোরসহ উত্থাপিত সব দাবিই মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গতকাল সোমবার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কল্যাণসভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা।
পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন শেষে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত কল্যাণসভা দুপুর দেড়টায় শুরু হয়ে শেষ হয় আড়াইটায়। সভায় প্রধানমন্ত্রীর সামনে পুলিশ সদস্যরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। সভায় পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইজিপি ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
সংশ্লিষ্টরা জানান, মেডিকেল কলেজ, আরও এক লাখ জনবল, পৃথক পুলিশ বিভাগ, একাধিক আইজিপি পদ ও চিফ অব পুলিশ পদ সৃষ্টি করে সেটিকে ফোর স্টার জেনারেল পদমর্যাদায় উন্নীত করার দাবিও ছিল পুলিশের। তবে সেগুলো নিয়ে কল্যাণসভায় কোনও আলোচনা হয়নি বলে জানান সভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা।
কল্যাণসভায় উপস্থিত কর্মকর্তারা জানান, পুলিশ সদস্যদের উত্থাপিত সব দাবিই মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু আজীবন রেশন দেয়ার বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, কল্যাণসভা শুরুর পর প্রথমেই ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কনস্টেবল নাজমুন্নাহার প্রধানমন্ত্রীর কাছে তার দাবি তুলে ধরেন। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেন, ক্রীড়াঙ্গনে পুলিশের অনেক সফলতা রয়েছে। কিন্তু পুলিশের কোনও ক্রীড়া কমপ্লেক্স নেই। তিনি একটি ক্রীড়া কমপ্লেক্স স্থাপনের দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী এ দাবি মেনে নিয়ে ক্রীড়া কমপ্লেক্সের জন্য জমি দেখতে নির্দেশ দেন সংশ্লিষ্টদের।
কুড়িগ্রামে কর্মরত এএসআই মো. মাহবুবুর রহমান প্রধানমন্ত্রীর কাছে পুলিশ সদস্যদের জন্য আজীবন রেশন দেয়ার দাবি করেন, যাতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরাও এ সুবিধা পেতে পারেন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জানান, তিনি বিষয়টি সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখবেন।
ডিএমপি ট্রাফিক সার্জেন্ট সিলভিয়া ফেরদৌস বলেন, এখন এক কাপ চায়ের দাম ১০ টাকা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে আরও বেশি। কিন্তু পুলিশ সদস্যরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আগের সেই ২০-২৫ টাকা ভাতা পেয়ে থাকেন। তিনি বলেন, ট্রাফিকরা এখন বর্তমানে ২০১১ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী ৩০ ভাগ ভাতা পেয়ে থাকেন। বর্তমান (২০১৫ সালের) বেতন স্কেল অনুযায়ী সেই ভাতা দেয়ার দাবি জানান তিনি। এছাড়া গ্রেডভিত্তিক ভাতা বৃদ্ধিরও দাবি জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী এই ট্্রাফিক সার্জেন্টের দাবিও বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও থানার ওসি ইন্সপেক্টর আব্দুল আহাদ খান বলেন, চাকরিরত অবস্থায় পুলিশ সদস্যরা মারা গেলে বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকা পেয়ে থাকেন। গুরুতর আহত হলে পান মাত্র এক লাখ টাকা। এটাকে যথাক্রমে আট ও চার লাখ টাকা করার দাবি জানান তিনি। আর দায়িত্বরত অবস্থায় এবং অভিযানে গিয়ে মারা গেলে যথাক্রমে ১৫ লাখ ও আট লাখ টাকা দেওয়ারও দাবি জানান এই ওসি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার এ দাবিও মেনে নেন।
ডিএমপির এক কর্মকর্তার দাবির প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী পুলিশের আলাদা মেডিকেল কোরের দাবিও বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।