পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনে ‘ভোট ডাকাতির’ প্রতিবাদে আগামীকালের কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচিতে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়ক কমিটির বৈঠক শেষে কমিটির নেতা ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আব্দুস সালাম এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান। আগামীকাল বুধবার বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত কালো ব্যাজ ধারণ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে ঐক্যফ্রন্ট।
আব্দুস সালাম বলেন, ৩০ ডিসেম্বর দেশের জনগণ ভোট দিতে পারেনি। সেজন্য সকল দলমত নির্বিশেষে ঐক্যফ্রন্টের বাইরেও যারা আছেন, সবাইকে এ ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাই। এই ভোট ডাকাতির প্রতিবাদে আগামীকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক ঘণ্টা কালো ব্যাজ ধারণের কর্মসূচি আছে। তিনি বলেন, আমরা চাই জনগণ ভোট দিতে না পারার যে ক্ষোভ, ঘৃণা সেটা প্রকাশের জন্য সবাই এই কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত হবেন। সবাইকে বলব, বেলা ৩টার মধ্যে প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে কালো ব্যাজ ধারণ করেন। আর ২৪ ফেব্রুয়ারি গণশুনানির কর্মসূচি আছে। ওই কর্মসূচির স্থান ও সময় পরে জানানো হবে।
তিনি বলেন, এই দুটি কর্মসূচি সার্থক করার জন্য মূলত আজকে আমাদের বৈঠক হয়েছে। আমাদের ফ্রন্টের যে দলগুলো আছে তাদের নিয়ে আলোচনা করেছি যে কিভাবে সফল করা যায়। আবদুস সালাম বলেন, প্রথম থেকে বারবার বলে আসছিলাম নির্বাচনের মাঠে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা সুযোগ সুবিধা পাচ্ছেন না। নির্বাচন কমিশনকে বারবার বলার পরও তারা ভ্রুক্ষেপ করেনি। তারপরও আমরা নির্বাচনে ছিলাম কারণ, আমরা বোঝাতে চেয়েছি বিশ্ববাসী যাতে বিভ্রান্ত না হয় যে ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন চায় না। তারা নির্বাচন ছেড়ে দিয়েছে। আমরা সেজন্য নির্বাচন ছেড়ে দেই নাই। কিন্তু নির্বাচনের দিন সকাল ৭টা থেকে কেন্দ্র দখল করে ভোট দিয়েছে- এগুলো নতুন করে বলার কিছু নাই। ৩০ তারিখে নির্বাচন তারা ২৯ তারিখে রাতে সিল মেরে শেষ করেছে।
দেশের জনগণসহ সারা পৃথিবী হতবাক হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এদেশে ভোটের নামে যে প্রহসন হয়েছে, সে কারণে অন্তত একটা জিনিস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, জনগণসহ বিশ্ববাসী আর কেউ কখনও বলবে না, আওয়ামী লীগের অধীনে জাতীয় নির্বাচন হোক অথবা অন্য কোনো নির্বাচন হোক। অন্তত ঐক্যফ্রন্ট বিএনপি কাউকে বলবে না যে, আপনারা নির্বাচনে যান। সবাই দেখেছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না।
তিনি বলেন, যেহেতু কোনো ভোট হয়নি সেহেতু আমরা এই ভোট প্রত্যাখ্যান করেছি। তারা এখন পর্যন্ত চেষ্টা করছে ঐক্যফ্রন্টের কাউকে কাউকে নিয়ে শপথ পাঠ করিয়ে জনগণ বা বিশ্ববাসীকে দেখানো যায় কি না। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ আছে। আমাদের ঐক্যফ্রন্টের কেউ কোনো শপথ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরনো কথাই নতুনভাবে আসছে। আওয়ামী লীগের অধীনে কোনোভাবেই নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়, সেটা ৩০ ডিসেম্বর প্রমাণ হয়েছে। সেটার জন্য এই কর্মসূচি দেওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণ এই কর্মসূচিতে জাতীয় নেতৃবৃন্দ আসবেন। দেশবাসীকে জানিয়ে দিলাম, এটা যাতে সফল হয়, এজন্য সবার সহযোগিতা চাই।
সারা দেশে প্রার্থীদের মামলা করার কথা ছিল, এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছেন কি না জানতে চাইলে আব্দুস সালাম বলেন, না আমরা সিদ্ধান্ত থেকে সরি নাই। প্রার্থীদের বলা হয়েছিল যারা মনে করেন, তারা মামলা করতে পারেন। এটা ম্যান্ডেটরি করে দেওয়া হয়নি। আজকে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনকে জায়েজ করার জন্য সরকারের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তারা দলীয়করণ করেছে। কোনো প্রতিষ্ঠানই স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। পুলিশ, নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারে নাই। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করেছে। কাজেই ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে সেটাও যে স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে না, এ ব্যাপারে কারো মনে কোনো সন্দেহ নেই। তারপরও বলব, এ বিষয়ে আরো ১১দিন সময় আছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মহানগর বিএনপি নেতা কাজী আবুল বাশার, নবী উল্লাহ নবী, গণফোরাম নেতা জগলুল হায়দার আফ্রিক, রফিকুল ইসলাম পথিক, গণদলের চেয়ারম্যান এ টি এম গোলাম মাওলা চৌধুরী, জেএসডির নেতা মমিনুল ইসলাম, বিকল্প ধারার মহাসচিব শাহ আহমদ বাদল প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।