প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : ব্যাংক থেকেও কোনো যুক্তিতেই ঋণ নিয়ে সুদ দেওয়া জায়েজ হবে না। ব্যাংক কিভাবে চলবে এর জবাব হলো, ব্যাংক ব্যবসা করে চলবে। সুদ নিয়ে নয়। কারণ, আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল করেছেন, আর সুদকে হারাম করেছেন। ব্যাংকের মালিক ও কর্তৃপক্ষ যদি গ্রাহকদের সাথে হালাল ব্যবসা ও বিনিয়োগ করেন, তাহলে এর লাভ থেকে তাদের ব্যবস্থাপনা ব্যয় ও মুনাফা আসবে। গ্রাহকও হালাল উপায়ে লাভবান হবে। আপনি ব্যাংককে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান না বলে, বলেছেন সুদের প্রতিষ্ঠান। সুতরাং সুদী ব্যাংককে সুদ ছেড়ে ব্যবসা বা বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে হবে। আর সুদী পদ্ধতিতে দারিদ্র্য দূর হয় না। দারিদ্র্য দূরের নামে সুদী ব্যবস্থা উপস্থিত কিছু সুবিধা দেখায় বটে, কিন্তু পরিণাম চিন্তায় কিছু লোকের হাতে সব সম্পদ কুক্ষিগত করে দেয়। আর লাখো মানুষের টাকা শুষে নিয়ে কয়েকজন গ্রাহককে বিপুল সম্পদশালী বানায় আর ব্যাংকওয়ালারা টাকার পাহাড় গড়ে তুলে। মানুষ ভাবে দারিদ্র্য দূর হচ্ছে। ইসলামের পদ্ধতি এমন নয়। ইসলাম ব্যাংকিং এর মাধ্যমে আর্থ সামাজিক সেবা, সম্পদের সুষম বণ্টন ও সকলের কল্যানে বিশ্বাসী।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।