পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
১৫ থেকে ১৭ ফেব্রæয়ারি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে
১৫ থেকে ১৭ ফেব্রæয়ারি সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। তাবলিগ জামাতের মধ্যে যে বিভেদ ছিল তা ইতোমধ্যেই মিটে গেছে। ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে। ঐক্যবদ্ধভাবে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। ইজতেমার যাবতীয় কাজ প্রশাসনের তত্ত¡াবধানে হবে। গতকাল রোববার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ইজতেমার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মীমাংসার পর প্রস্তুতিমূলক সভা করতে এতো সময় কেন লাগলো সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঠে কে ইমামতি করবেন, কে নেতৃত্ব দেবেন, সেসব খুঁটিনাটি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দু’পক্ষ মিলে যাতে সুন্দরভাবে ইজতেমা শেষ করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সারা পৃথিবীতেই তাবলিগ জামাতের মধ্যে এখন দ্বিমত রয়েছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। এসব বিষয় সমাধানের জন্য ধর্ম প্রতিমন্ত্রী তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের দুজন করে চারজন মুরব্বির সমন্বয়ে আলোচনায় বসবেন। ওই বৈঠকে আরো অগ্রগতি হবে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ইজতেমা আয়োজনের কাজ চলছে। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন মেয়র মো. জাহাঙ্গীর আলম, ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিভাগীয় কমিশনার ও গাজীপুর জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে মাঠ পরিষ্কার এবং যাবতীয় ইউটিলিটিজের ব্যবস্থা করা হবে। তবে ইজতেমার বাকি কাজ কীভাবে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা চলছে।
এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, আলোচনা চলছে, সমস্যার সমাধান হবে। কে বয়ান করবে, কে মোনজাত করবে এবং কে পরিচালনা করবে এগুলো নিয়ে ঝামেলা আছে। আর তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনা চলছে।
ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বলেন, আমরা যে যাই বলি, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সবার কথা শুনেছি এবং একমতে পৌঁছেছি। দুই বিবাদমান পক্ষ মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে ইজতেমা হবে। এখন আমাদের পক্ষ থেকে দায়িত্ব হচ্ছে ইজতেমায় যাতে কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা না হয় সেই ব্যবস্থা করা। মাওলানা সা’দ এবার আসবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে শেখ মোহাম্মাদ আব্দুল্লাহ বলেন, এটা নিয়ে আজ কোনো আলোচনা হয়নি। আড়াই ঘন্টার এ বৈঠকে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, গাজীপুর পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম, পুলিশের আইজি, র্যাবের ডিজিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের নেতাদের মধ্যে সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম ও খান শাহাবুদ্দিন নাসিম এবং অন্য পক্ষে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা ওমর ফারুক এ বৈঠকে অংশ নেন।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি
ধর্ম মন্ত্রণালয় ইজতেমার ইমামতি ও আখেরি মোনাজাতসহ কিছু বিষয়ে ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার বৈঠকেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি তাবলিগ জামাতের মুরব্বিরা। এ নিয়ে আবারও বৈঠক করা হবে বলে জানিয়েছেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। গতকাল বিকেলে বৈঠকের পর প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, কিছু বিষয়ে এখনও মতভিন্নতা রয়েছে। সেজন্য শিগগিরই তাদের সঙ্গে আবারও বৈঠক করা হবে। ওই বৈঠকেই এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।