পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের মানুষের নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চিয়তা দানের অঙ্গীকার করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, খাদ্যে ভেজাল দিয়ে মানুষের জীবন ধ্বংসের অধিকার কারও নেই। খাদ্যে ভেজাল দেওয়াও এক ধরনের দুর্নীতি, এটা বন্ধ করতেই হবে। তাই খাদ্যে ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরদার করতে হবে। তিনি বলেন, দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, খাদ্যে ভেজাল রোধেও কঠোর অভিযান চলছে। দেশের মানুষের নিরাপদ খাদ্য আমরা দেবো এবং নিশ্চিত করবো।
গতকাল রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০১৯ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আলাদাভাবে বাংলাদেশ নিরাপদ কর্তৃপক্ষ করে দিয়েছি, যাতে মাঠে-ঘাটে সবখানেই ভেজালের বিরুদ্ধে কাজ করা যায়। তবে এক্ষেত্রে মানুষকে সচেতন করতে হবে। ‘খাদ্যে ভেজাল দেওয়াকে কিছু মানুষের ‘চরিত্রগত বদভ্যাস’ এবং এটিও এক ধরনের দুর্নীতি’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করণীয় আমরা তা করবো, করে যাচ্ছি। কোনো বিষক্রিয়ায় আমাদের দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হোক সেটা আমরা চাই না। ভেজাল রোধে খাদ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য ‘বিশেষ ল্যাবরেটরি’ প্রতিষ্ঠা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, অন্যান্য জিনিসগুলো টেস্ট করার জন্য বিএসটিআইকে আমরা আধুনিক ও উন্নত করেছি। কিন্তু আলাদাভাবে খাদ্য পরীক্ষার জন্য বিশেষ ল্যাবরেটরি একান্তভাবে প্রয়োজন এবং সেই ল্যাবরেটরি আমরা করে দেবো। আমাদের একটা কেন্দ্রীয় ল্যাবরেটরি থাকবে পাশাপাশি প্রত্যেকটা বিভাগেও ল্যাবরেটরি থাকবে। যাতে যেকোনো সময় আমরা যেকোনো খাদ্য সঙ্গে সঙ্গে পরীক্ষা করে দেখতে পারি।
খাদ্যে ভেজালবিরোধী অভিযান আরও জোরদার হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছি। দুর্নীতির বিরুদ্ধেও- এই ভেজাল দেওয়া এক ধরনের দুর্নীতি। কাজেই দুর্নীতির বিরুদ্ধেও আমরা আমাদের অভিযান চালাচ্ছি। ভেজালের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এটা অব্যাহত থাকবে। আর হাটে-মাঠে-ঘাটেও যেন এই ভেজালবিরোধী অভিযানটা অব্যাহত থাকে। তার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি। ভবিষ্যতে আরও নেবো। ভেজাল বন্ধে নাগরিক সচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ সচেতন হলে কেউ খাবার নিয়ে জনগণকে ঠকাতে পারবে না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খাদ্যের চাহিদা কখনও শেষ হয় না। এর চাহিদা থাকবেই। আমরা চাহিদা অনুযায়ী খাদ্য জোগান দেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, আমরা দেশীয় মাছ উৎপাদনে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাই আজ মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ। শুধু মাছ নয়, ডিম, দুধ, মাংস এসব আমিষ জাতীয় খাদ্য উৎপাদনেও বাংলাদেশ এখন স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমরা পুষ্টিকর খাদ্যের ওপর বিশেষ নজর রাখছি।
পুষ্টিকর খাবারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পুষ্টিকর খাবারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। মা ও শিশুর স্বাস্থ্যের প্রতি লক্ষ রেখে অতি দরিদ্রদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মা যাতে তার শিশুর পরিচর্যা করতে পারেন সেজন্য মাতৃত্বকালীন ছুটি ছয় মাস করে দিয়েছি। আগে এটা তিন মাস ছিল, পরে চার মাস করেছিলাম।
সুষম খাবার খাওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সবাইকে আমি বলবো একগাদা ভাতই শুধু খেলে হবে না। ভাতের সঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজিও বেশি করে খেতে হবে। আর মাছ-ডিম তো আছেই। যাতে খাবারটা সুষম হয়। আর সুষম খাবার হলেই পুষ্টি নিশ্চয়তাটা থাকে। তিনি বলেন, আমাদের খাদ্যের যে অভ্যাসটা, সেই অভ্যাসটা একটু পরিবর্তন করা দরকার। আমি এটা দেশবাসীকে বলবো, আমাদের ছিল এক থাল পেট ভরে ভাত, সামান্য একটু সবজি খাওয়ার অভ্যাস। বেশি করে শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভাতের সঙ্গে তরি-তরকারি, সবজি খেতে হবে। সবজির মধ্য দিয়ে কিন্তু অনেক পুষ্টি আসে। সেটাও আমরা ব্যবহার করতে পারি। তাছাড়া এখনতো মাছ উৎপাদনেও আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ।
এবারের নিরাপদ খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নেই’। প্রধানমন্ত্রী এই প্রতিপাদ্যের প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক ও খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মাহফুজুল হক। সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।