পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিভিন্ন দেশের সড়ক অবকাঠামো নির্মাণে ব্লক (বাস্কেট অব লোকালি অবটেইনড কমোডিটিজ) পদ্ধতি প্রয়োগ করেছে এশীয় অবকাঠামো বিনিয়োগ ব্যাংক (এআইআইবি)। পদ্ধতিটি প্রয়োগ করে সংস্থাটি বলছে, বাংলাদেশে সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ ব্যয় তুলনামূলক বেশি।
এর আগে বিশ্বব্যাংকও বাংলাদেশে প্রতি কিলোমিটার সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণ ব্যয় বিশ্বে সর্বোচ্চ বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছিল। ব্লক পদ্ধতি প্রয়োগ করে বিশ্বব্যাংকের এ পর্যবেক্ষণকে সমর্থন করছে এআইআইবি। তারা বলছে, প্রতি মিটার হিসাবে ঢাকার সড়কের (চার লেন) নির্মাণ ব্যয় স্থানীয় মুদ্রায় ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। ডলারে এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রতি মিটার ৬ হাজার ৩০০ ডলার। ক্রয় ক্ষমতার ভিত্তিতেও এ ব্যয় বেশি। তবে বেশি ব্যয়ের কারণ জানতে অধিকতর গবেষণার প্রয়োজন বলে মনে করছে সংস্থাটি।
‘এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিন্যান্স-২০১৯’- শীর্ষক একটি প্রতিবেদন গত সপ্তাহে প্রকাশ করেছে এআইআইবি। তাতে বাংলাদেশ, চীন, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকাসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ ব্যয় রোডব্লক পদ্ধতিতে হিসাব করে এর তুলনামূলক একটি চিত্র দিয়েছে সংস্থাটি।
রোডব্লক পদ্ধতিতে সড়ক নির্মাণের তুলনামূলক ব্যয়ের চিত্র তুলে আনতে নির্বাচন করা হয়েছে শহর অঞ্চলের চার লেনের এমন প্রধান সড়ককে, যেখানে যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত ইন্টারসেকশন রয়েছে। সড়কের নির্মাণ ব্যয় নির্ধারণে প্রথমেই স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা যায় এমন সামগ্রীর একটি বাস্কেট বা ব্লক তৈরি করা হয়েছে। এক্ষেত্রে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়েছে সিডনির ব্যয়কে। সেখানে প্রতি মিটার সড়ক নির্মাণে ব্যবহৃত শ্রমসহ ১০টি উপকরণকে বাস্কেটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এরপর স্থানীয় মুদ্রায় (অস্ট্রেলিয়ান ডলার) পরিমাণের ভিত্তিতে উপকরণগুলোর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বাস্কেটটি ঠিক রেখে তা হিসাব করা হয়েছে অন্য দেশের স্থানীয় মুদ্রায়, যা রোডবøক এককে প্রকাশ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের রোডব্লক (স্কোর) দাঁড়িয়েছে প্রতি মিটারে ২৪ হাজার। এআইআইবির পর্যবেক্ষণে থাকা দেশগুলোর মধ্যে এটা সর্বোচ্চ, যা বাংলাদেশে সড়ক নির্মাণের তুলনামূলক বেশি ব্যয়কে নির্দেশ করে। আর সড়ক নির্মাণে সবচেয়ে কম ব্যয় ম্যানিলায় (ফিলিপাইন)।
বিভিন্ন দেশে দুই লেনের স্থানীয় সড়ক যেমন রয়েছে, একইভাবে রয়েছে চার বা ছয় লেনবিশিষ্ট মহাসড়কও। কোনো কোনো ক্ষেত্রে এসব সড়কের সঙ্গে টানেল কিংবা সেতুর মতো অবকাঠামো যুক্ত থাকে। সাধারণভাবে গড় হিসাবে মিটারপ্রতি ব্যয় নির্ধারণ করে সড়ক অবকাঠামোর নির্মাণ ব্যয়ের সঠিক তুলনামূলক চিত্র তাই পাওয়া যায় না। এজন্যই রোডব্লক পদ্ধতিতে নির্মাণ ব্যয়ের হিসাব করেছে এআইআইবি। চীনের ক্ষেত্রে প্রতি মিটার সড়ক নির্মাণে রোডব্লক ১৮ হাজার ৬০০, ভারতে ৭ হাজার ৯০০, ইন্দোনেশিয়ায় ১০ হাজার ৬৫০, পাকিস্তানে ১৫ হাজার ৬০০, ফিলিপাইনে ৫ হাজার ১১০, রাশিয়ায় ১৭ হাজার ৫০০ ও তুরস্কে ৮ হাজার ৩৫০। অর্থাৎ সব দেশের রোডব্লকই বাংলাদেশের চেয়ে কম।
এআইআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে বৃহত্তর অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও অবকাঠামোগত প্রকল্প বাস্তবায়নে বিনিয়োগ বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছে বাংলাদেশ সরকার। সদস্যদের অবকাঠামোগত উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সহায়তার জন্য এআইআইবি কৌশল প্রণয়ন করছে।
২০১৬ সালে যাত্রা করা ব্যাংকটির সদর দপ্তর চীনের বেইজিংয়ে। বিশ্বব্যাপী এআইআইবির সদস্য সংখ্যা এখন ৯৩। এশিয়া অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের উদ্দেশ্যে কাজ করছে ব্যাংকটি। এছাড়া এ অঞ্চলে টেকসই উন্নয়ন অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান তৈরিও সংস্থাটির অন্যতম লক্ষ্য।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।