পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত বছর সারা দেশে ৩ হাজার ১০৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪ হাজার ৪৩৯ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটে। গতাকল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানিয়েছেন নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) আন্দোলনের সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন। সংগঠনটি প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি নিয়ে তালিকা প্রকাশ করে থাকে।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি গত বছর সড়ক দুর্ঘটনা ও সড়কে নিহতের ঘটনা নিয়ে একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করেন। যাত্রী কল্যাণের পরিসংখ্যান মতে ২০১৮ সালে সারা দেশে ৫ হাজার ৫১৪টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। আর এসব দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ২২১ জন মানুষের প্রাণহানি ও ১৫ হাজার ৪৬৬ জন মানুষ আহত হয়। তবে সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে মোট দুর্ঘটনা ঘটে ৬ হাজার ৪৮টি। যাতে ৭ হাজার ৭৯৬ জন মানুষের প্রাণহানি ও ১৫ হাজার ৯৮০ জন আহত হয়।
লিখিত বক্তব্যে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ হাজার ৪৩৯ জন মানুষের প্রাণ গেছে। আহত হয়েছেন ৭ হাজার ৪২৫ জন। হাসপাতালে ভর্তির পর মারা গেছেন ৭৪০ জন। তাদের পরিসংখ্যান মতে মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৭ সালের চাইতে ২৪৬ জন কমেছে।
দেশের ৬টি জাতীয় দৈনিক, টেলিভিশন, অনলাইন পত্রিকা ও শাখা সংগঠনগুলোর রিপোর্টের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, গত বছর গাড়িচাপায় ১ হাজার ৫৩৫ জন, মুখোমুখি সংঘর্ষে ৮৭৩ জন, উল্টোপথে চলতে গিয়ে ২৭১ জন, গাড়ি খাদে পড়ে ১৫৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৫৬৬ জন চালকও রয়েছেন। যার মধ্যে ১৬০ জন মোটরসাইকেল চালক, ৬৪ জন বাসচালক ও ৫৯ জন ট্রাক চালক রয়েছেন।
সংস্থাটির তথ্যমতে, গত বছরের জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষের প্রাণহানি ঘটে। এ সময় ৩৮১ জনের মৃত্যু হয়। নভেম্বরে সবচেয়ে কম ২৪৫ জন নিহত হয়।
জেলাভিত্তিক সড়ক দুর্ঘটনার চিত্র তুলে ধরে বলা হয়, গত বছর সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা মহানগর ও আশপাশের এলাকায়। এ সময় ৩৩৯টি দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন নিহত হন। ২০১৭ সালে মারা যায় ৫ হাজার ৬৪৫ জন যা ২০১৬ সালে ছিল ৩ হাজার ১৫২ জন।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে, বড় বড় শহর ও হাইওয়েতে ছোট ছোট অবৈধ যানবাহন যেমন : ভ্যান, রিকশা, নসিমন, করিমন, অটোরিকশা ইত্যাদি চলাচলকে বেশি দায়ী করা হয়েছে। তিনি ট্রাফিক নির্দেশনা অমান্য, যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, যেখানে সেখানে যাত্রী উঠানো-নামানো, ওভারটেকিং, পাল্টাপাল্টি ও বেপরোয়াগতিতে গাড়ি চালানো, অতিরিক্ত যাত্রী ও মাল বোঝাই করা, ওভার ব্রিজ কিংবা আন্ডারপাস বা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করার প্রবণতাকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান।
##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।