পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মিয়ানমারের রাখাইনে দীর্ঘমেয়াদি সশস্ত্র সঙ্ঘাতের আশঙ্কা প্রকাশ করেছে প্রভাবশালী থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ’। ব্রাসেলসভিত্তিক ওই প্রতিষ্ঠানের পর্যবেক্ষণ থেকে জানা গেছে, রাখাইনে আরাকান আর্মির সা¤প্রতিক হামলায় জাতীয় শান্তি প্রক্রিয়া ও বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দুটি প্রক্রিয়াই হুমকির মুখে পড়েছে। আরাকান আর্মির হামলার মধ্যে নতুন ধারার সশস্ত্র পন্থার উত্থান দেখছে তারা। তাদের ওপর সেনাবাহিনীর চলমান দমন অভিযানের প্রতিক্রিয়ায় সেখানে দীর্ঘমেয়াদী সশস্ত্র সঙ্ঘাতের বাস্তবতা সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে সংস্থাটি।
গত ৪ জানুয়ারি পুলিশের নিরাপত্ত চৌকিতে আরাকান আর্মির হামলায় ১৩ পুলিশ নিহত হয়। আহত হয় আরও বেশ কয়েকজন। সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং জানায়, বিগত যেকোনও সশস্ত্র হামলার চেয়ে এর ব্যাপকতা অনেক বেশি ছিলো।
ওই হামলার ঘটনায় ‘দ্য নিউ ডাইমেনশন অব ভায়োলেন্স ইন মিয়ানমার’স রাখাইন স্টেট’ শীর্ষক ১২ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনে প্রকাশ করে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রæপ। ২৪ জানুয়ারি প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরাকান আর্মির হামলায় রাখাইনের বিরাজমান জটিল পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। ওই হামলা একটি ভয়াবহ বাস্তবতাকে প্রতিকায়িত করেছে, তা হলো রাখাইন জনগোষ্ঠীর জাতিগত স্বীকৃতি আদায়ের পথ হিসেবে সশস্ত্র পন্থা রাজনীতির স্থানটি দখল করেছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় আরাকান আর্মিকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী চিহ্নিত করে বেসামরিক সরকার তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বলে দাবি করেছে সেনাবাহিনী। তবে সু চি সরকারের কোনও মুখপাত্র এখন সরাসরি এই দাবি নিশ্চিত করেনি।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ তাদের প্রতিবেদনে বলছে, আরসার হামলার বিপরীতে সরকারের পক্ষ থেকে ওই সশস্ত্র গোষ্ঠীকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে পরিচালিত দমন অভিযান ‘তাদের প্রতি স্থানীয়দের অপ্রকাশিত সমর্থনকে জাগিয়ে তোলা এবং তাকে আরও প্রকাশ্যে আনার মধ্য দিয়ে রাখাইনের সশস্ত্র সঙ্ঘাতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
তারা আশঙ্কা জানিয়েছে, নতুন মাত্রার ওই সঙ্ঘাত আরও জোরালো হওয়ার মধ্য দিয়ে রাখাইনকে আরও দীর্ঘমেয়াদি সশস্ত্র সঙ্ঘাতের পথে ঠেলে দিতে পারে।
উত্তপ্ত পরিস্থিতি ও সহিংসতা থামাতে মিয়ানমার সরকার, সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মিকে সহিংসতা থেকে বিরত থেকে আলোচনার মাধ্যমে সঙ্কটের আহ্বান জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ। এছাড়া সরকারকে রাখাইনের জাতিভিত্তিক রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য স¤প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান ও পরবর্তী রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলার আহ্বান জানিয়েছে গ্রুপটি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।