পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেয়ার বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিকদল বিএনপির নির্বাচিত সদস্যরা শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্তে এখনো অনঢ়। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করা গণফোরামের সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ও মোকাব্বির খান সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে তাদের ইতিবাচক মনোভাবের কথা জানিয়েছেন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সুলতান মোহাম্মদ মনসুর একাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচন করেন ঐক্যফ্রন্ট থেকে। তিনি গণফোরাম থেকে মনোনয়ন নিয়ে ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। এখনো শপথ নেননি। এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এ ব্যাপারে বলেছেন ইতিবাচক। ৯০ দিন হাতে আছে, যেকোনো একসময় হবে।
গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে উদীয়মান সূর্য প্রতীক নিয়ে সিলেট-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন। শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শপথের ব্যাপারে তো আমরা পজিটিভ। আমাদের বর্ধিত সভা হয়েছে। দলেরও সমর্থন আছে সংসদে যাওয়ার ব্যাপারে। তবে আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
গণফোরামের নির্বাচিত দুই সদস্যের শপথ নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের বিষয় জানতে চাইলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শপথ নেয়ার বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হয়েছে এমনটি আমার জানা নেই। ঐক্যফ্রন্টের বৈঠকে শপথ না নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। সে সিদ্ধান্তের কোন পরিবর্তন হয়নি। আমরা এখনো ওই সিদ্ধান্তেই অটল আছি।
অন্যদিকে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমন্বয়কারী মোস্তফা মোহসীন মন্টু এক বিবৃতিতে বলেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিদের শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে। একই সঙ্গে জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল, এখনো সেই ঐক্য অটুট আছে। বিবৃতিতে বলা হয়, একটি অবাধ সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন তথা জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছিল। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঐক্য সুদৃঢ় ও অটুট আছে। গণফোরাম তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন কোন নির্বাচিত সংসদ সদস্য সংসদে যোগদান করছে- এধরণের সংবাদ বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। যা অসত্য ও ভিত্তিহীন। সংসদে যোগ দেয়ার বিষয়ে গণফোরামে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোন সংসদ সদস্য শপথ না নেয়ার সিদ্ধান্ত বহাল আছে।
নির্বাচনের পরপরই ‘ভোট ডাকাতির’ অভিযোগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনে দাবি জানায়। এরপর বিএনপি বারবার বলছে, ‘ভোট ডাকাতির’ এই নির্বাচনের ফলাফল তারা প্রত্যাখ্যান করেছে। এ অবস্থায় তাদের শপথ নেয়ার প্রশ্নই আসে না। এ বিষয়ে স¤প্রতি ২০-দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব) ড. অলি আহমদ বিএনপির উদ্দেশে বলেছেন, সংসদে গেলে বেঈমানি করা হবে। এই বক্তব্যের ব্যাপারে তিনি বলেন, কর্মীদের রক্তের ওপর পা দিয়ে, যাদের ওপর হামলা-মামলা হয়েছে, তাদের প্রতি অসম্মান দেখিয়ে, কেউ যেন নিজের লাভ বা সুবিধা না দেখে। ভোট ডাকাতির নির্বাচন আমরা প্রত্যাখ্যান করেছি। যে বা যারা সংসদে যাবেন, তারা জোটের সঙ্গে বেঈমানি করবে। জাতির সঙ্গে প্রতারণা করবে।
তবে এব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের নেতারা বলছেন, জোটগতভাবে সংসদে না যাওয়া সিদ্ধান্ত এখনো বহাল আছে। ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন দেশে ফিরলে শপথসহ নানান বিষয়ে আলোচনা হবে। ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, না যাওয়ার ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্ট ও গণফোরামের সিদ্ধান্ত একই। ওনারা (মনসুর ও মোকাব্বির) তো ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে নির্বাচন করেছেন। একজন ধানের শীষে, আরেকজন উদীয়মান সূর্যে। এখন পর্যন্ত না যাওয়ার সিদ্ধান্তই আছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।