পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের তিন মাসের মাথায় আবারও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে সংলাপ নয়, এবার প্রধানমন্ত্রী দলগুলোর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য চা-চক্রের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট, বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ প্রায় ৭০টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে ‘আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটায় গণভবনে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রে আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু মাঠের বিরোধী দলগুলোর নেতারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমার ছেলেবেলা গল্পের ‘আগে চাই বাংলা ভাষার গাঁথুনি, তারপর ইংরেজি শেখার পত্তন’ উক্তির মতোই বক্তব্য দিচ্ছে। তারা বলছেন, আগে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিল করতে হবে; তারপর গণভবনে গিয়ে নতুন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলোচনা, সিটি কর্পোরেশন-উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও চা-চক্রে যাওয়া যেতে পারে’।
রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ১৪ দলীয় জোট, বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট, এরশাদের জাতীয় পার্টিসহ ক্ষমতাসীন দলের ‘অধীনস্থ’ দলগুলো গণভবনে চা-চক্রে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ১৪ দলীয় জোটের বাম শরিকরা খুশি গণভবনে চা-চক্রে গিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্তির আঁবদার করার সুযোগ নেবেন। কিন্তু বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্টের শরিক দল, বাম গণতান্ত্রিক জোট, ইসলামী আন্দোলনসহ মাঠের বিরোধী দলগুলোর কেউ চা-চক্রে যাবে না। এমনকি উপজেলা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করবে না। এসব দলের নেতারা জানান, গণভবনের চিঠি পেয়েছেন; তবে চা-চক্র যাবেন না; এই সরকার এবং এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবেন না। তাদের বক্তব্য, আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে এবং নতুনভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সংলাপের আয়োজন করতে হবে। তারপর অন্য কথা।
জানতে চাইলে বাসদের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বলেন, চা খেতে প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে যেতে হবে কেন? চা খাওয়ার জন্য অনেক জায়গা আছে। দেশে একটা নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচন নিয়ে দেশের মানুষের পাশাপাশি শাসক দলের নেতারাও বিব্রত। তাদের সেই বিব্রত ভাবটা এখনও কাটেনি। আর নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশন ও পুলিশ পিঠা উৎসব এবং ভোজ করছে। প্রধানমন্ত্রী আলোচনার জন্য ডাকতেই পারেন। তবে কী আলোচনা সেটা পরিষ্কার না হলে সেখানে গিয়ে তো কোনোও লাভ নেই। বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহ আলম বলেন, গণভবনের চিঠি পেয়েছি। কিন্তু আমরা সিপিবি ও বাম গণতান্ত্রিক জোট সেখানে যাচ্ছে না। কি প্রক্রিয়ায় নির্বাচন হয়েছে সবাই জানি। এখন গণভবনের আমন্ত্রণে যাওয়ার পরিবেশ নেই। বর্তমান যে অবস্থায় আমরা যাচ্ছি না।
নতুন সরকার গঠনের পর সরকার কার্যত নতুন করে আন্তর্জাতিক মহলের চাপে পড়ে গেছে। কূটনৈতিক সম্পর্ক এবং স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ের কারণে নতুন সরকারকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান স্বাগত জানালেও নির্বাচন নিয়ে যে অভিযোগ উঠেছে তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন অধিকাংশ বিশ্বনেতা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে না পারার বিষয়টি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ভারতের বুদ্ধিজীবীরাই এখন ‘দিল্লির ভূমিকার’ কঠোর সমালোচনা করে বলছেন, প্রতিবেশি বাংলাদেশের নির্বাচনে দিল্লি যে ভূমিকা পালন করেছে তাতে ভারত সাময়িক সুবিধা পেলেও দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে। কৌশলগত কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিন্দন জানিয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিনন্দন জানালেও ওই বার্তায় তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের পারস্পরিক অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাণিজ্য বাড়ানোর পাশাপাশি মানবাধিকার, ব্যক্তিস্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংরক্ষণে আপনার (শেখ হাসিনা) প্রতিশ্রুতি পালন করবেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে সেই আহ্বানের আলোকে আপনার এই প্রতিশ্রুতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনের সময় যে চিত্র প্রকাশ হয়েছে তা জাতীয় নির্বাচন এবং বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতির ওপর কলঙ্ক লেপন করেছে। গতকালও জাপানের প্রধানমন্ত্রী, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ও চেয়ারম্যান অব দ্য কাউন্সিল অব মিনিস্টার্স অব বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা অভিনন্দন জানিয়েছে।
এদিকে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। একইসঙ্গে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ঘিরে যেসব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তা তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির হাইকমিশনার এলিসন বেøক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দেখা করে যুক্তরাজ্যের এই বক্তব্য তুলে ধরেন।
জানা গেছে, গত দুই দিনে গণভবনে চা-চক্রের অংশ নেয়ার জন্য অনেকগুলো রাজনৈতিক দলকে চিঠি দেয়া হয়। বিএনপির অফিস সূত্রে জানা গেছে তারা গণভবনের আমন্ত্রণপত্র পেয়েছেন। বিভিন্নজনের নামে এই চিঠিগুলো এসেছে। চিঠিতে শুভেচ্ছা বিনিময় ও চা-চক্রের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা জানান, এ নিয়ে এখনো দলগত এবং ঐক্যফ্রন্টের জোটগতভাবে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে গণভবনে চা খেতে যাওয়া বা সিটি কর্পোরেশন ও উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের প্রশ্নই উঠে না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচনে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট অংশ নেবে না। তাছাড়া ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচনের আয়োজনের আগে এই সরকারের সঙ্গে কোনো বিষয়ে আলোচনার প্রশ্নই উঠে না। এ প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের সরকারকে গ্রহণযোগ্য করতেই গণভবনে চা-চক্রের আয়োজন করা হয়েছে। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনের নামে প্রহসনের পর প্রহসনের সংসদ হয়েছে। নতুন করে সরকারও গঠিত হয়েছে। সেই সরকারের সত্যিকারের অবস্থান কোথায় সরকার ঠিকই জানে। এ জন্যই সরকার ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কিভাবে তাদের প্রহসনের সরকারকে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলা যায়। গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, গণভবনে চা-চক্রের দাওয়াত পেয়েছেন। গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমি আমন্ত্রণপত্র দেখেছি। তবে গণভবনের চা-চক্রে যাওয়ার বিন্দুমাত্র আগ্রহ আমাদের নেই। নির্বাচনের আগে তো ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে গিয়েছিলাম। তাতে কী লাভ হয়েছে? মাঝখান থেকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে অপমানিত হয়েছি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। গণভবনে এটা চা-চক্রের আমন্ত্রণ। সেখানে তো আলোচনার জন্য ডাকা হয়নি। সুতরাং আমার ব্যক্তিগত অভিমত, গণভবনে যাওয়ার কোনো দরকার নেই। আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েই ‘পাপ’ করেছি। নতুন করে আর কিছু করতে চাই না। জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাতিল করে এবং নতুনভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের সংলাপের পরই সরকারের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আলোচনা ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হবে অবৈধ নির্বাচনকে বৈধতা প্রদানের সামিল। আগে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন বাতিল করে ভোটের আয়োজন তারপর অন্য কথা।
গণভবনে আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক জোটের অবস্থান জানিয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাবেক সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রধান সাইফুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দাওয়াতে যাওয়ার কোনোও সম্ভাবনা নেই বাম গণতান্ত্রিক জোট নেতাদের। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, গণভবনে দাওয়াতে যাওয়া না যাওয়ার বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এই নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনও আলোচনাও হয়নি। আর চায়ের দাওয়াতে যাওয়ার কী আছে।
সংলাপের আমন্ত্রণ পাননি এবং পেলেও যাবেন না জানিয়ে ইসলামী আন্দোলনের চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক উপদেষ্টা মো. আশরাফ আলী আখন্দ বলেন, আমরা আগেও গণভবনে সংলাপে যাইনি। এবারও যাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। শুনেছি যারা বিগত দিনে গণভবনে সংলাপে গেছে এবার তাদেরই আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। গত শনিবার খুলনায় এক মাহফিলে আওয়ামী লীগ সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে আর কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জানিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির পীর সাহেব চরমোনাই মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, সামনে যে উপজেলা নির্বাচনসহ সিটি নির্বাচনগুলো আছে, সেগুলোতে এই ইসির মাধ্যমে কখনোই গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না। সরকার (আওয়ামী লীগ) এখন ক্ষমতায় আছে এবং তাদের দায়িত্বে এই নির্বাচনগুলো গ্রহণযোগ্য হবে না বিধায় আমরা নির্বাচনগুলোতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। হাদিসে রয়েছে ‘মুমিন একবার গর্তের ভেতরে পড়ে, দুইবার পড়ে না।’
মূলত: নতুন করে সংলাপের প্রসঙ্গ উঠে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে। ১৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউ-এ তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপ করবেন। পরের দিনই তিনি নিজেকে সংশোধন করে বলেন, সংলাপ নয় এবার গণভবনে হবে শুভেচ্ছা বিনিময়। আমি কখনো সংলাপের কথা বলিনি। আমার বক্তব্যের অডিও-ভিডিও রয়েছে। কিন্তু ১৫ জানুয়ারি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও একটি সংলাপ করবেন। আগের সংলাপে যে সব দল অংশগ্রহণ করে তাদের প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানাবেন জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আসুন। বাংলাদেশ তো সকলের, সকলে মিলে দেশকে গড়ে তুলি। এইচ টি ইমাম ও ওবায়দুল কাদের পরস্পরবিরোধী বক্তব্য চাউর হলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, একাদশ সংসদে সরকারের শপথ গ্রহণের পর নির্বাচন নিয়ে সংলাপে বসার দাবি হাস্যকর।
এর আগে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভবনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৮ সালের পহেলা নভেম্বর গণভবনে শুরু হয় সংলাপ পর্ব। প্রথম দিন ঐক্যফ্রন্টের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। পর্যায় ক্রমে কামাল হোসেনের জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, এরশাদের সম্মিলিত জাতীয় জোট, বি. চৌধুরীর যুক্তফ্রন্ট, ৮ দলের সম্বয়ে গঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোট, নাজমুল হুদার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট (বিএনএফ), চরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ ৭০টির নাম জানা এবং দেড়শতাধিক নাম না জানা দলের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। ওই সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, বাম গণতান্ত্রিক জোট ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ‘জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে’ কিছু গঠনমূলক প্রস্তাবনা দেয়। ঐক্যফ্রন্ট সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্যভাবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠা, সংসদ ভেঙ্গে দেয়া, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সব রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি, সেনা মোতায়েন এবং ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের পদক্ষেপ বাতিল করাসহ ৭ দফা দাবি-নামা দেয়। ওই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা ও মিথ্যা মামলার তালিকা চান এবং সেগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু এইচ এম এরশাদ সংলাপে যাওয়ার আগেই জানান তারা ডিনার করতে গণভবনে যাবেন। বি. চৌধুরী জানান তিনি পুত্র মাহি বি. চৌধুরীর এমপি হওয়া নিশ্চিত করতে যাবেন। ঐক্যফ্রন্টের নেতারা অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী গণভবনের সংলাপে দেয়া প্রতিশ্রুতির একটিও পূরণ করেননি প্রধানমন্ত্রী।
গত শনিবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে উনি (প্রধানমন্ত্রী) যে ডাক দিয়েছেন সেটা মেনে নেয়ার কোনো কারণ নেই। গণভবনে আমাদের সঙ্গে যে সংলাপ হলো তখন প্রধানমন্ত্রী যে কথাগুলো দিয়েছিলেন, সেই কথাও উনি রাখতে পেরেছেন? একটাও রাখেননি। গ্রেফতার হবে না, নতুন কোনো মামলা হবে না এবং একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা হবে- একটাও রাখেননি। অতএব...।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।