পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় দুই বছরের সাজার বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন পেয়েছেন পুলিশের সাবেক দুই মহাপরিদর্শক (আইজিপি) শহুদুল হক ও আশরাফুল হুদা। গতকার সোমবার বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে তাঁদের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে বিচারপতি শেখ আবদুল আউয়াল ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাদের ছয় মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী আশরাদুর রউফ ও জামিলুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এফ আর খান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।
মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলায় দুই বছরের সাজার রায় হলেও আসামিরা ১৪ মাস যাবৎ বিচারপর্যায়ে কারাগারে ছিলেন। সেই দিক বিবেচনায় নিয়ে বিচারিক আদালত তাঁদের জামিন দিয়েছিলেন। বিচারিক আদালতের রায়ের পর তাঁরা আত্মসমর্পণ করলে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়। হাইকোর্ট সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তাঁদের আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে ছয় মাসের অন্তর্বতীকালীন জামিন দিয়েছেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন এই আইন কর্মকর্তা।
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গুলিস্তানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। তৎকালীন বিরোধীদলীয় তো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলটির বহু নেতা-কর্মী আহত হন। গত বছরের ১০ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদন্ড দেন আদালত।
এ ছাড়া এ মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, হারিছ চৌধুরী, সাবেক এমপি কায়কোবাদসহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে। এ মামলায় ৮জন পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়। তাঁরা হলেন পুলিশের সাবেক তিন মহাপরিদর্শক আশরাফুল হুদা, শহুদুল হক ও খোদা বকশ চৌধুরী, সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি খান সাইদ হাসান ও মো. ওবায়দুর রহমান, জোট সরকারের আমলে মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান ও এএসপি আবদুর রশিদ। নিয়ম অনুযায়ী মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা ডেথ রেফারেন্স অনুমোদনের জন্য গত বছরের ২৭ নভেম্বর নথি পাঠানো হয় হাইকোর্টে। রায়ের বিরুদ্ধে দন্ডপ্রাপ্তরা জেল আপিল করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।