পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে প্রবাসী কর্মীরা হামলা করে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কাউন্সিলরসহ ৩ জন।
বৃহস্পতিবার খালেদিয়া এলাকায় বাংলাদেশ দূতাবাসে লেসকো কোম্পানির চার শতাধিক আকামাহীন শ্রমিক বকেয়া বেতন, থাকা-খাওয়াসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে দূতাবাসে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে দূতাবাস ভাঙচুর করে।
জানা গেছে, পরিবারের স্বচ্ছলতা আনতে সুখের আশায় দালালের ফাঁদে পড়ে ধারদেনা ও ভিটা-বাড়ি বন্ধক রেখে ৭ থেকে ৮ লাখ টাকায় ভিসা কিনে কুয়েতে গিয়ে প্রবাসী কর্মীরা আকামাহীন অবস্থায় বেকার হয়ে পড়েছেন। চার-পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া হওয়ায় তারা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানবেতর জীবন যাপন করেছেন। অনেক সময় আকামা না থাকার কারণে পুলিশি ঝামেলার শিকারও হতে হয়। মসজিদ, রাস্তাঘাট পরিষ্কার ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশি কর্মীরা কাজ করেন। কর্মস্থলে নানা আতংক ও হতাশায় দিন কাটছে তাদের।
এ অবস্থায় ভুক্তভোগী কর্মীরা বাংলাদেশ দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালামের কাছে দালালদের নাম, পাসপোর্টে কপি ও সিভিল আইডি নম্বরসহ লিখিত অভিযোগ দেন। এর প্রেক্ষিতে রাষ্ট্রদূত সংশ্লিষ্ট কোম্পানির সঙ্গে বিস্তারিত আলাপ করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন এবং পরে তাদের নিজ নিজ কর্মস্থলে ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। তার বক্তব্যে ভুক্তভোগীরা আশ্বস্ত হতে না পেরে ফিরে যাওয়ার সময় দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বাকবিতায় জড়িয়ে পরেন। এক পর্যায়ে তারা দূতাবাসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এ সময় দূতাবাসের টিভি, কম্পিউটারসহ আসবাবপত্রের ব্যাপক ক্ষতি এবং দূতাবাসের তিন কর্মকর্তা আহত হন। পরে স্থানীয় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।