প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : আপনি প্রশ্নে যে দু’টি মোহরানার কথা উল্লেখ করেছেন, এমন বিধান ইসলামে নেই। ইসলামে মোহরানা একটিই। যা নির্ধারিত হবে, তাই দিতে হবে। নগদ বা বাকি হতে পারে। তবে, না দেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। না দেওয়ার নিয়ত করে বিবাহ করলে বিবাহই শুদ্ধ হবে না। আপনি বলেছেন, ইমাম সাহেব বিয়ে পড়ানোর সময় যেটি বলে থাকেন সেটি ঠিক, না কাজি সাহেব খাতায় যা লিখে থাকেন? মোহরানা আসলে ইমাম সাহেব বা কাজি সাহেব ঠিক করেন না। এটা করেন বর ও কনে পক্ষের দায়িত্বশীলরা। সুতরাং এখানে আপনি ও আপনার স্ত্রী যে পরিমাণ মোহরানা নির্ধারণ করবেন সেটিই ঠিক। কন্যার নিরাপত্তার জন্য ১০-১৫-২০ লাখ লিখে দেওয়ার যে রীতি চালু আছে তা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অনিয়ম। বেশি বা কম যতই নির্ধারণ করা হোক, ততই পরিশোধ করতে হবে। স্ত্রীর সম্মান, নিরাপত্তা বা অন্য যে নামেই ডাকা হোক, পরিমাণ যত হালকা বা ভারী হোক মোহরানা মোহরানাই। এ নিয়ে তামাশা করা, দু’রকম লেখা, মনে একটা মুখে একটা বলা, ইমেজ বৃদ্ধির জন্য বড় অংক লেখা, নগদ কম দিয়ে সব বাকি ফেলে রাখা ও ভবিষ্যতে দিতে টাল-বাহানা করা ইত্যাদি সবই গুনাহের কাজ। বিয়েতে মোহরানা সততার সহিত নির্ধারণ ও পরিশোধ জীবনের রহমত বরকতের বড় কারণ। সততার চেয়ে বড় নিরাপত্তা আর হয় না। মোটা অংক লিখলেই স্ত্রীর নিরাপত্তা হবে, এ ভুল ধারণা থেকেই এমন বিভ্রান্তির জন্ম।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।