পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চাননি। গত মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রিজনস) ইকবাল কবীরের নেতৃত্বে প্রশাসনের একটি প্রতিনিধি দল কারাগারে নিজামীর কাছে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে চানতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। বিকেলে কারাগার থেকে বেরিয়ে জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান।
প্রতিনিধি দলে অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রিজনস) ইকবাল কবীর ছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির উপস্থিত ছিলেন। মূলত এ প্রতিনিধি দলটির কাছে প্রাণভিক্ষা চাওয়ার বিষয়ে অসম্মতি জানানোর মধ্যদিয়ে নিজামীর ফাঁসি কার্যকরের সর্বশেষ ধাপ সম্পন্ন হয়।
অন্যদিকে গতকাল বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল তার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের একথা জানান, ‘জেলকোড অনুযায়ী নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। তবে দ্রুতই রায় কার্যকর করা হবে এবং ফাঁসি কার্যকর করার জন্য সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন।’
তবে নিজামী প্রাণভিক্ষা চাইবেন না এমন তথ্য তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম আগেই জানিয়েছিলেন। সোমবার তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘যারা ইসলামী আন্দোলন করেন তারা শহীদী তামান্না নিয়ে কাজ করেন। তারা কারো কাছে মাথা নত করেন না। তাদের তো রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না। তাজুল আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলনের সৈনিকরা ফাঁসির রশিকে ভয় পায় না। নিজামী আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো কাছে মাথা নত করবেন না, তাই রাষ্ট্রপতির কাছে নিজামীর ক্ষমা চাওয়ার প্রশ্নই আসে না।
এদিকে প্রাণভিক্ষা না চাওয়ায় সন্ধ্যার পর নিজামীর পরিবারকে শেষবারের মতো দেখা করার জন্য জেলখানায় ডাকা হয়। এ সংবাদ লেখা পর্যন্ত নিজামীর পরিবারের সদস্যরা জেলখানায় অবস্থান করছিল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মৃত্যুদ-প্রাপ্ত মতিউর রহমান নিজামীর রিভিউ খারিজ করে দেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার নেতৃত্বে চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এক শব্দের এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি শুধু বলেন, ‘ডিসমিসড’।
ওই দিনই রিভিউ খারিজের ২২ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বেলা ৫টার দিকে রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি পাঠানো হয় ট্রাইব্যুনালে। তার পরে সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে রায়ের কপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।