পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পোশাক শ্রমিকদের কাজে ফেরাতে ও কারখানার পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে রাজধানী, গাজীপুর ও সাভারসহ সারাদেশেই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে কাজ করছেন গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা। তবে বেতন বাড়ানোর ঘোষণার পরও অসন্তোষ কমেনি পোশাক শ্রমিকদের মধ্যে। গতকাল নীরব বিক্ষোভ করেছেন আশুলিয়া অঞ্চলের ২০-২৫টি কারখানার শ্রমিক। কারখানায় এসেও কাজে যোগ না দিয়ে বের হয়ে গেছেন তারা। এ সময় বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা বাইপাইল-আবদুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করলে পুলিশ শ্রমিকদেরকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশ সদরদফতরের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে জানা গেছে, মজুরি বাড়ানোর ঘোষণার পরও শ্রমিক অসন্তোষ কমেনি। এ জন্য রাজধানীসহ দেশের যেসব এলাকায় পোশাক কারখানা রয়েছে, সেখানে সর্তক থেকে নজরদারি করতে স্থানীয় পুলিশকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পোশাকদারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে নজরদারি করতে বলা হয়েছে বলে ওই সূত্র জানিয়েছে। টেক্সটাইল গার্মেন্টস ওয়ার্কাস ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, শ্রমিকরা কোনো কিছু না বুঝেই কারখানা থেকে বের হয়ে আসছে। যেহেতু সরকার মজুরি বৃদ্ধি করেছে, তাই এখন শ্রমিকদের কাজে ফিরে যাওয়া উচিত। এরপরও যদি শ্রমিকদের কোনো দাবি-দাওয়া থাকে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
স্টাফ রিপোর্টার, সাভার জানান, মালিক-শ্রমিক ও সরকারের ত্রিপক্ষীয় সমঝোতার পর সোমবার কাজে ফিরতে শুরু করেছে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। তবে এরই মধ্যে জামগড়া, নরসিংহপুর ও বেরন এলাকার ২০-২৫টি কারখানার শ্রমিক কাজে যোগদান করেও পরে কারখানা থেকে বেরিয়ে যায়। পরে ওই কারখানাগুলো একদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সকাল থেকেই সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের তৈরী পোশাক কারখানাগুলোতে দল বেঁধে শ্রমিকদের কারখানায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। তবে বেলা ৯টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের আশুলিয়ায় জামগড়া, নরসিংহপুর ও বেরন এলাকার হামিম গ্রুপ, শারমিন গ্রুপ, এনবয় ও উইনডিসহ কারখানার শ্রমিকরা কাজে যোগদানের পর কারখানা থেকে বেরিয়ে আসে। পরে তারা জামগড়া ছয়তলা এলাকায় সড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেয়। পরে কিছু শ্রমিক পুনরায় কারখানায় প্রবেশ করে কাজ শুরু করে।
আলপনা নামে একজন অপারেটর জানান, ভেতরে কাজ করলেও নিরাপত্তা পাই না, স্টাফরা আমাদেরকে মারধর করে, আবার বাইরে গেলেও একদল লোক আমাদের ওপর হামলা করে। এখন আমরা কী করব বুঝতে পারছি না।
আশুলিয়া থানার ওসি শেখ রেজাউল হক বলেন, সকালে প্রতিদিনের মতো কয়েকটি কারখানার শ্রমিক রাস্তায় বের হয়ে এসে অবস্থান নেয়। এ সময় আমরা শ্রমিকদের প্রথমে বুঝিয়ে সারানোর চেষ্টা করি। আমাদের কথায় কিছু শ্রমিক রাস্তা থেকে সরে গেলেও অন্যরা বিক্ষোভ অব্যাহত রেখে সড়কে বসে থাকে। এ সময় আমরা লাঠিচার্জ করে তাদেরকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেই। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শিল্প পুলিশের পাশাপাশি আমাদের সদস্যরাও প্রস্তুত রয়েছে।
গত ৬ জানুয়ারি থেকে কাজ বন্ধ রেখে বিক্ষোভ দেখিয়ে আসছিল ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন কারখানার শ্রমিকরা। পরে এর প্রেক্ষাপটে মালিক-শ্রমিক ও প্রশাসনের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ত্রিপক্ষীয় কমিটি গত ১৩ জানুয়ারি রোববার বৈঠক করে ছয়টি গ্রেড সংশোধন করে বেতন বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।