পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি বিরুদ্ধে সরকারের কঠোর অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এর অর্জনসমূহ সমুন্নত রাখার জন্য সরকার দুর্নীতি বিরোধী লড়াই অব্যাহত রাখবে।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চতুর্থবারের মতো পুনঃনির্বাচিত হওয়ার পর গতকাল পিএমও অফিসে তার প্রথম কর্মদিবসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) সিনিয়র কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি বলেন, যদিও কোন দেশের পক্ষেই শতভাগ দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব নয়, তবে আমাদের সরকারের একটা দায়িত্ব হলো এই দুর্নীতি প্রতিরোধ করা যাতে এটি দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে না পারে এবং আমাদের সকল সাফল্য ম্লান করে না দেয়।
প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, সন্ত্রাসবাদ, দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলের ক্ষেত্রে আমাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকবে। শেখ হাসিনা বলেন, টেন্ডার ছিনতাইয়ের ঘটনা দেশে বারংবার ঘটেছে। কিন্তু আমরা দেশকে এই অবস্থা থেকে মুক্ত করতে পেরেছি। প্রযুক্তির বদৌলতে এই সাফল্য এসেছে এবং এটা ডিজিটাল বাংলাদেশের একটা ভাল ফল। এর আগে সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বানে পুস্পস্তবক অর্পণ করে স্বাধীনতাযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদ সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এসময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব অনার দেয়। এ সময় বিউগলে বেজে ওঠে করুন সুর। শিখা অনির্বানে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর পরিদর্শন বইতে সই করেন শেখ হাসিনা।
এরপর সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে নিজ কার্যালয়ে প্রথম কর্মদিবস কাটান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বেও রয়েছেন। সকালে প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাবাহিনী প্রথান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মো. নিজাম উদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাশিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাহফুজুর রহমান প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এ সময় উপস্থিত ছিলেন। পুপার্ঘ্য অর্পণের পর নতুন মেয়াদে দায়িত্ব পালনে এদিনই প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে তার প্রথম অফিস করেন। শেখ হাসিনা সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে পৌঁছলে তাকে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক অভ্যর্থনা জানান। সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধান এবং পিএসও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মাল্টিপারপাস হলে দপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও অন্যান্য পদবির সদস্যদের সাথে মত বিনিময়ের পর চা-চক্রে অংশগ্রহণ করেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।