পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশকে ব্রান্ডিংয়ের অন্যতম মাধ্যম খেলাধুলা। তাই গত ৩০ বছর ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির পাশাপাশি খেলাধুলার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছি। শহীদ শেখ কামালের রেখে যাওয়া প্লাটফর্ম ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের দায়িত্ব নিয়েছি। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) এবং ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) দায়িত্বে ছিলাম। এক সময়ে ক্লাবগুলো সরকারী সাহায্য পেত না। ব্যক্তিগত উদ্যোগে তারা খেলাধুলাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। তিনি বলেন, আমি খেলাধুলার মানুষ। সব সময় খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করবো। বর্তমানে সরকারের পাশাপাশি ক্লাবগুলো দেশের ক্রীড়াঙ্গনকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখছে। এছাড়া ঢাকার ক্লাবগুলোর উন্নয়ন দরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খেলাধুলার উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ। উনার কাছে আবহনী ও মোহামেডানের কোনো ভেদাভেদ নাই। প্রধানমন্ত্রী খেলাধুলার উন্নয়ন চান।
গতকাল রোববার শেরেবাংলা নগরে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগে মন্ত্রীর নিজ দফতরে ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের প্রতিনিধিরা অর্থমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর পর তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ঢাকা আবাহনী লিমিটেডের কর্মকর্তারা অর্থমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশ উন্নত হলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পায়। দেশের দারিদ্র্য বিমোচন হয়। একই সঙ্গে একটি গবেষণা রিপোর্টের ঊদ্বৃতি দিয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বর্তমান ধারাবাহিকতায় আগামী ২০৩২ সালে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে ২৪ তম অর্থনীতির দেশ হবে।
খেলাধুলার ইতিবাচক দিক তুলে ধরে অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতির পাশাপাশি খেলাধুলা এবং মানুষকে ভালোবেসে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। আর মানুষের মননশীলতা বিকাশে খেলাধুলার বিকল্প নাই। খেলাধুলা মানুষকে ভালোবাসতে শেখায় উল্লেখ করেন তিনি। ক্রিকেটের উন্নয়ন তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, এক সময় দেশের মানুষের কাছে ক্রিকেট জনপ্রিয় ছিল না। আবাহনীর দায়িত্ব নিয়ে নেইল ফেয়ার ব্রাদার, ইলিং ওয়ার্ড, ওয়াসিম আকরাম, অজয় জাদেজা এবং অশোকা ডি সিলভার মতো তারকা খেলোয়াড়কে বাংলাদেশে এনে ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা এবং উন্নয়ন করেছি।
মোহামাডান, আবাহনীসহ সকল ক্লাবের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ঢাকা মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের পরিচালক রেজাউর রহমান সোহাগ বলেন, নব নির্বাচিত অর্থমন্ত্রী খেলাধুলা প্রিয় মানুষ। ক্রিকেটের দুরাবস্থার সময়ে হাল ধরেছেন। ক্রিকেটকে দেশব্যাপি জনপ্রিয় করেছেন। ক্রিকেটের উত্থান ও বর্তমান অবস্থান প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই আ হ ম মুস্তফা কামালের অবদান রয়েছে। আমরা বিশ্বাস অর্থমন্ত্রী দেশের ক্রিড়াঙ্গনকে আগের মতোই এগিয়ে নেবেন। রেজাউর রহমান সোহাগ বলেন, ক্রীড়াঙ্গনের প্রাণ ঢাকার ক্লাবগুলো দেশের খেলাধুলার উন্নয়নে করে যাচ্ছে। আশাকরি সরকারও দেশের ক্লাবগুলোর উন্নয়নে এগিয়ে আসবে। একই সঙ্গে ঢাকার ক্লাবগুলো বাঁচলে দেশের ক্রীড়াঙ্গন বাঁচবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মোহামেডান স্পোটিং ক্লাবের ডিরেক্টর ইন চার্জ লোকমান হোসেন ভূইয়াঁ, পরিচালক মাহবুব আনাম, আমিরুল ইসলাম বাবু, মাসুদুজ্জামান, মোহামাডান ক্লাবের প্রাক্তন ফুটবলার আবদুল গাফফার প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।