পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করে রাজনীতি করবেন না বলে জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি এবং ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, তড়িঘড়ি করে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে তা সংশোধন করা হবে। জামায়াতের সঙ্গে রাজনীতি করার প্রশ্নই উঠে না। ওদের সঙ্গে রাজনীতি করিনি করবো না। গতকাল রাজধানীর আরামবাগে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
এ সময় দলের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসিন মন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. রেজা কিবরিয়া, রফিকুল ইসলাম পথিকসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দলটির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় লিখিত বক্তব্যে গণফোরাম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু বলেন, তাড়িঘড়ি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করতে গিয়ে অনিচ্ছাকৃত ভুলত্রুটি হয়তো হয়েছে। সেগুলো সংশোধন করে ভবিষ্যৎ সংগঠিতভাবে গঠন করা হবে। এছাড়া আগামী ২৩ এবং ২৪ মার্চ ঢাকায় গণফোরামের জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ড. কামাল হোসেন বলেন, জামায়াতের সঙ্গে ঐক্য করে অনিচ্ছাকৃত ভুল হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে কখনও রাজনীতি করিনি, ভবিষ্যতেও করবো না। আমি যখন ঐক্যে সম্মতি দিয়েছি তখন জামায়াতের কথা আমার জানা ছিল না। এটা ঐক্যফ্রন্ট গঠনে ভুল ছিল। এছাড়াও তড়িঘড়ি করে ঐক্যফ্রন্ট গঠন করে যেসব ভুলত্রুটি হয়েছে তা সংশোধন করা হবে।
৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি এবং আইন শৃংখলা বাহিনী আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরেছে উল্লেখ করে কামাল হোসেন বলেন, দেশের মালিক জনগণ। সংবিধানে রয়েছে ভোট দেয়া নাগরিকের মৌলিক অধিকার। দেশের মানুষের মধ্যে মৌলিক বিষয়ে ঐক্যমত্য আসেনি। মানুষকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি। চাতুরি করে ফলাফল ছিনতাই হয়েছে। একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের সংসদ গঠিত হোক, এটা নিয়ে কোনো দ্বিমত নেই। কিন্তু ৩০ ডিসেম্বর যা ঘটেছে সেটা তো আপনারা সংবাদ মাধ্যমে পাচ্ছেন।
দেশের স্বার্থে সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিতে সরকার সিদ্ধান্ত নিতে চাইলে সেটা পারে মন্তব্য করে ড. কামাল বলেন, তারা (আওয়ামী লীগ) চাইলে দুই তিন মাস বা তার চেয়ে কম সময়ের মধ্যে একটা নির্বাচন করা যেতে পারে। তিনি বলেন, জামায়াতের ২২ জন প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতীক দেওয়া হবে, বিষয়টি আমি জানতাম না। দেওয়ার পর বিএনপির কাছে আমি ব্যাখ্যা চেয়েছিলাম। তারা বলেছে সবাই ধানের শীষের প্রার্থী। জামায়াতের কেউ নেই।
জামায়াত ছেড়ে আসতে বিএনপির ওপর চাপসৃষ্টি করা হবে কি-না জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, আমিতো মনে করি জামায়াত ছেড়ে আসতে বিএনপিকে চাপ দেওয়া যেতে পারে। বিএনপির সঙ্গে জামায়াত থাকলে ভবিষ্যতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থাকবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, জামায়াত নিয়ে কোনো রাজনীতি নয়, অবিলম্বে এ বিষয়ে সুরাহা চাই।
জনসমর্থনের বিষয়ে সরকারের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ক্ষমতাসীন সরকারের নীতি নির্ধারকদের উদ্দেশে ড. কামাল হোসেন বলেন, আপনারা যদি মনে করেন আপনাদের উপর মানুষের আস্থা আছে সেটা প্রমাণ হোক একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে। যাতে প্রমাণ হয় নির্বাচনে সব মানুষ ভোটকেন্দ্রে যেতে পেরেছে, পুলিশ তাদের বাধা দেয়নি, রাতের ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়নি। কেন্দ্রে বিনা বাধায় লাইনে যারা দাঁড়িয়েছে তারা ভোট দিতে পেরেছেন। আমাদেরতো অনেকগুলো লাইন দেখানো হয়েছে, অনেকে লাইনে দাঁড়িয়েছে, কিন্তু ভোটের সময় বলা হয়েছে আপনারটা যা করার (ভোট দেয়া) হয়ে গেছে, আপনাদের আর কাজ নেই।
সরকারকে বলবো জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে বিতর্ক না বাড়িয়ে একটা সমাধান করা হোক। জনগণের ভোটাধিকার হলো গণতন্ত্রের ব্যাপারে। সংবিধানের ব্যাপারে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের মধ্যে ঐক্য আছে। মানুষ ভোট দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছে। সংবিধানে নাগরিকের যেখানে এতগুলো মৌলিক ব্যাপারে ঐক্যমত আছে, সেখানে সরকারকে এটার প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই কিন্তু সুযোগ দেওয়া উচিত, যাতে সবাই ভোট দেয়া বা নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। সবার আস্থা নিয়ে যে কেউ সরকার গঠন করবে। পুলিশ দিয়ে ভোট নয়, জনগণের ভোটে সরকার গঠন করলে তাদেরও দায়িত্ব পালন করা সহজ হয়, দেশও যেটা প্রাপ্য সেটা পায়। সংবিধানে দেয়া জনগণের ভোটাধিকার চুরি বা জনগণকে ভোট দেয়া থেকে বঞ্ছিত করায় বাহাদুরির কিছু নেই। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।