পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন বলেছেন, চিকিৎসা সেবাকে আরও উন্নত ও মানসম্মত করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি বলেন, অনেক রোগী দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যান। তাই চিকিৎসার জন্য বিদেশমূখীতা কমাতে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার উপর জনগণের আস্থাকে আরো মজবুত করার লক্ষ্যে সরকার কাজ করবে। একই সঙ্গে চিকিৎসকদেরও কাজ হবে তাদের প্রতি রোগীদের আস্থা বাড়ানো। তাহলে দেশের বাইরে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার প্রবণতা কমবে।
জাহিদ মালেক বলেন, প্রত্যেক মানুষের কাছে মানসম্মত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে সার্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উপরও সরকার গুরুত্ব দিবে। নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী যাদের বয়স ৬৫ বছরের উপরে তাদের বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। একই সঙ্গে দশ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পাঁচ হাজার বেডে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ডরমেটরির ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
গতকাল ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শহীদ মিলন হল মিলনায়তনে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের বরণ এবং শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢামেক-এর প্রিন্সিপাল প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব জিএম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল কালাম আজাদ, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. নাসির উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশে^র মতো বাংলাদেশকেও অসংক্রামক রোগের ব্যপকতার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হচ্ছে। দেশে ক্যান্সার, কিডনীজনিত রোগ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস রোগের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওপেন হার্ট সার্জারীর সুযোগ সৃষ্টি করার পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।
নতুন শিক্ষার্থীদেরকে এমবিবিএস ক্লাস শুরুর আগে নেওয়া শপথের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে জাহিদ মালেক বলেন, সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দিয়ে রোগীর সেবায় আত্মনিয়োজিত হতে হবে। কারো প্রতি বৈষম্য না দেখিয়ে সেবাদানের মানসিকতা গড়ে তোলাই চিকিৎসকদের মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে অবস্থান করে সেবা প্রদানে চিকিৎসকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে বড় বড় হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু গ্রামে যদি চিকিৎসক না থাকে তবে সরকারের সব উদ্যোগ ব্যর্থ হয়ে যাবে।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ বলেন, সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে শিক্ষার সুযোগ পায়। প্রতিমন্ত্রী হিসেবে আমার কাজ হবে তোমাদের মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়া। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।