পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতীয় সংলাপ করার ঘোষণা দিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল রাজধানীর বেইলী রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন। এ ছাড়া নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা ও নির্বাচনে সহিংসতা হওয়া এলাকায় গণসংযোগের কর্মসূচিও ঘোষণা করা হয়েছে। স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকের শেষে ফ্রন্টের মুখপাত্র বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তবে জাতীয় সংলাপ কবে হবে তার দিনক্ষণ কিছুই জানানো হয়নি। কর্মসূচির সিদ্ধান্ত জানিয়ে ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা আজকে ফ্রন্টের বৈঠক করেছি যেখানে ৩০ ডিসেম্বর কী ঘটেছিলো তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা উদ্বেগ প্রকাশ করছি নির্বাচন যে করা হলো, যে নির্বাচন আমরা আশা করেছিলাম, জনগন যে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তাদের প্রতিনিধি বাছাই করতে পারতো সেটা তো হয় নাই।
কোনো একটা জিনিস হয়েছে যে, যেটাকে প্রচার করা হচ্ছে যে, নির্বাচন হয়েছিলো এবং সেটার ফলাফলের ভিত্তিতে এই সরকার যেটা গঠন করা হয়েছে সেটা করা হয়েছে। আমরা কিছু কর্মসূচি নিয়েছি এর মধ্যে একটা জাতীয় সংলাপ হবে। পরে ফ্রন্টের পক্ষ থেকে একটি লিখিত বিবৃতি মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম পড়ে শুনান। বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নিকট আমাদের জোর দাবি হচ্ছে, অনতিবিলম্বে নির্বাচনের কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের সঠিক অনুলিপি প্রদানের ব্যবস্থা করা হোক। জনগন যেন কেন্দ্রভিত্তিক ফলাফলের অনুলিপি পাওয়ার পর তা আদালতে উপস্থাপনের মাধ্যমে প্রমাণ করতে পারে, ৩০ ডিসেম্বর সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হয়নি। এমতাবস্থায় দেশের জনগন নির্দলীয় সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুনরায় একটি অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ নির্বাচনের জোর দাবি করছি।
বিবৃতি বলা হয়, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা ভীতি সন্ত্রস্ত্র হয়ে জনগন ভোট দিতে পারেনি। ফলে জনগন নিজেদের মতামত প্রকাশের অধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার তথা সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ইউএন কনভেনশন এন্ড হিউম্যান রাইটসের মতে শুধু সাংবিধানিক অধিকার নয় বরং একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগনের মানবাধিকারও কেড়ে নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধান ও আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এসব বেআইনি কর্মকান্ড গুরুতর অপরাধ। ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন দেশের মালিক জনগনের সাথে প্রতারনা করেছে। অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক ভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অপব্যবহার করে এবং সেনা বাহিনীর কার্যকর ভুমিকাকে নিষ্ক্রিয় করে নির্বাচন কমিশন পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মৌখিক নির্দেশ দিয়ে সরকারি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী বাহিনীকে ব্যালট পেপারে নৌকা ও লাঙ্গল মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখতে সাহায্য করেছে।
ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডির আসম আবদুর রব, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান, শহিদুল্লাহ কায়সার, গণস্বাস্থ্য সংস্থার ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।