পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পথচলা শুরু করল নতুন সরকার। গতকাল বঙ্গভবনে নতুন সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এ নিয়ে তিনি টানা তৃতীয় এবং দেশের ইতিহাসে চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রীর হওয়ার গৌরব অর্জন করলেন। ইতোমধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতার দায়িত্ব পালনের রেকর্ডও রয়েছে তার। একই সঙ্গে শপথ নিয়েছেন মন্ত্রিসভার সদস্যরা।
প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ সোমবার পৌনে ৪টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে হাজার অতিথির উপস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে শপথবাক্য পাঠ করান। অতঃপর একে একে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা শপথ গ্রহণ করেন। এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যসংখ্যা ৪৭ জন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয়ের রেকর্ড গড়ার পর চমক লাগানো মন্ত্রিসভার মন্ত্রীরা শপথ নিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম। জাঁকজমকপূর্ণ শপথ অনুষ্ঠানে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়া আওয়ামী লীগের অনেক জাঁদরেল নেতাকে দেখা যায়নি। একাদশ সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বা তার স্ত্রী দশম সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ শপথ অনুষ্ঠানে আসেননি।
৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভায় আছেন ৩৫ জেলার প্রতিনিধি। বাকি ২৯ জেলার কোনো সংসদ সদস্য এখন পর্যন্ত মন্ত্রিসভায় স্থান পাননি। আওয়ামী লীগ সরকারে এলে সব সময় মন্ত্রী থাকে, এমন বেশ কিছু জেলাও এবার বঞ্চিত হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, নতুন এই মন্ত্রিসভার শপথের মধ্য দিয়ে দেশের নতুন সরকার গঠন হলো। নতুন মন্ত্রিসভা শপথ নেয়ার পর আগের মন্ত্রিসভা স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাতিল হয়ে যায়। নতুন সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীরা আজ (মঙ্গলবার) থেকে নিজ নিজ দপ্তরে অফিস করবেন। এদিকে রাতেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দপ্তর বণ্টনের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই শপথের মধ্য দিয়েই টানা তৃতীয়বারের মতো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেল আওয়ামী লীগ। আর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা চতুর্থ মেয়াদে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানের দায়িত্ব নিয়ে গড়লেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মন্ত্রিসভায় ২৭ জনই নতুন মুখ। পুরনোদের মধ্যে ৩৬ জন বাদ পড়েছেন।
মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যরা শপথ নিতে বঙ্গভবনে আসতে শুরু করেন বেলা ৩টার আগেই। একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন নতুন মন্ত্রীরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শপথ নেয়ার পর ছোট বোন শেখ রেহানা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য সাজেদা চৌধুরী দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বুকে জড়িয়ে ধরেন। পরে হাত নেড়ে উপস্থিত সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসন গ্রহণ করেন শেখ হাসিনা। শেখ রেহানা ছাড়াও তার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক স্ত্রী পেপপিকে নিয়ে এসেছিলেন নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানে। প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই সংসদ সদস্য শেখ হেলালউদ্দিন ও শেখ সালাউদ্দিন জুয়েলও শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সিইসি কে এম নুরুল হুদা নতুন সরকারের অভিষেক উপস্থিত ছিলেন।
নতুন রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনকে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের পা ছুঁয়ে সালাম করতে দেখা যায়। আগের সরকারের মন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, নুরুল ইসলাম নাহিদ, শামসুর রহমান শরীফের সঙ্গে কুশল বিনিময় করে দোয়া চান নতুন কয়েকজন মন্ত্রী।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে ২৯৮টি আসনের মধ্যে ২৫৬টিতেই জয় পায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মহাজোট পায় ২৮৮টি। যার মধ্যে জাতীয় পার্টি ২২টি, জাসদ তিনটি, ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি, বিকল্পধারা দুটি, তরিকত ফেডারেশন একটি ও বাংলাদেশ জাসদের একটি আসন রয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মাত্র সাতটি আসন পায়। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জিতেছেন তিনটি আসনে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এমপিরা ছাড়া নবনির্বাচিত সব এমপিই শপথ নেন। বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের বৈঠকে দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা সংসদ নেতা নির্বাচিত হন। পরে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে শেখ হাসিনাকে সরকার গঠনের আমন্ত্রণ জানান।
শপথ গ্রহণের জন্য দুপুরের পর থেকে মন্ত্রিপরিষদের নতুন সদস্যরা বঙ্গভবনে আসতে শুরু করেন। সঙ্গে আসেন তাদের পরিবার সদস্য ও স্বজনরা। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানা, বঙ্গবন্ধু পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পান আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য, উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, ঢাকায় কর্মলত বিদেশি ক‚টনীতিক, অনুগত শিল্পী-বুদ্ধিজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। এ ছাড়া সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারাও এই শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। আরো ছিলেন বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা। শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, বিচারপতি, শিক্ষকসহ এক হাজারের মতো অতিথি।
মন্ত্রিসভার শপথ নেয়াদের মধ্যে রয়েছেন মন্ত্রী ২৪ জন, প্রতিমন্ত্রী ১৯ জন ও উপমন্ত্রী তিনজন। পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে যারা শপথ নিলেন তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আ ক ম মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে ওবায়দুল কাদের, কৃষি মন্ত্রণালয়ে মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আসাদুজ্জামান খান, তথ্য মন্ত্রণালয় ড. হাছান মাহমুদ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আনিসুল হক, অর্থ মন্ত্রণালয়ে আ হ ম মুস্তফা কামাল, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে মো. তাজুল ইসলাম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ডা. দীপু মনি, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে এম এ মান্নান, শিল্প মন্ত্রণালয়ে নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে গোলাম দস্তগীর গাজী, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে জাহিদ মালেক, খাদ্য মন্ত্রণালয়ে সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে টিপু মুনশি, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে শ ম রেজাউল করিম, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ে মো. শাহাব উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বীর বাহাদুর উ শৈ সিং, ভূমি মন্ত্রণালয়ে সাইফুজ্জামান চৌধুরী, রেলপথ মন্ত্রলণালয়ে মো. নুরুল ইসলাম সুজন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে স্থপতি ইয়াফেস ওসমান (টকনোক্র্যাট), ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ে মোস্তাফা জব্বারকে (টকনোক্র্যাট)।
১৯ জন প্রতিমন্ত্রী হলেন- কামাল আহমেদ মজুমদার (শিল্প), ইমরান আহমেদ (প্রবাসী কল্যাণ), জাহিদ আহসান রাসেল (যুব ও ক্রীড়া), নসরুল হামিদ (বিদ্যুৎ ও জ্বালানি), আশরাফ আলী খান খসরু (মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ), মন্নুজান সুফিয়ান (শ্রম), খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (নৌপরিবহন), জাকির হোসেন (প্রাথমিক ও গণশিক্ষা), শাহরিয়ার আলম (পররাষ্ট্র), জুনাইদ আহমেদ পলক (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি), ফরহাদ হোসেন (জনপ্রশাসন), স্বপন ভট্টাচার্য (স্থানীয় সরকার), জাহিদ ফারুক (পানিসম্পদ), মো. মুরাদ হাসান (স্বাস্থ্য), শরীফ আহমেদ (সমাজকল্যাণ), কে এম খালিদ (সংস্কৃতি), এনামুর রহমান (দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ), মাহবুব আলী (বিমান), শেখ মো. আবদুল্লাহ (টকনোক্র্যাট) (ধর্ম)। তিন উপমন্ত্রী হলেন- হাবিবুন নাহার (পরিবেশ), এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানিসম্পদ), মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা)।
এ সময় ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের মধ্যে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, বিকল্প ধারার প্রেসিডেন্ট এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান ও যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী এবং জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম উপস্থিত ছিলেন দরবার হলে। নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান না পাওয়া আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আবুল মাল আবদুল মুহিত, আমির হোসেন আমু, মতিয়া চৌধুরী তোফায়েল আহমেদ, নুরুল ইসলাম নাহিদ, এ এইচ মাহমুদ আলী, কামরুল ইসলাম, শামসুর রহমান শরীফ শপথ অনুষ্ঠানে ছিলেন।
গত সরকারে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা এইচ টি ইমাম, তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ও গওহর রিজভীও ছিলেন বঙ্গভবনে। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বিকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট তাকে স্বাগত জানান। পরে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান কিছুক্ষণ একান্তে আলাপ করেন বলে বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা জানান। সাড়ে ৩টা দরবার হলে প্রবেশ করেন প্রধানমন্ত্রী। শপথ অনুষ্ঠান শেষে বঙ্গভবনের মাঠে চা চক্রে যোগ দেন সবাই। প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেখানে ঘুরে ঘুরে সবার সঙ্গে কথা বলেন।
শেখ হাসিনার যত রেকর্ড
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে আরো একটি রেকর্ড গড়লেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে সবচেয়ে বেশি সময় প্রধানমন্ত্রী থাকা ও জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা থাকার রেকর্ডও গড়েছেন। টানা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বঙ্গভবনে প্রধানমন্ত্রীকে শপথ পাঠ করান প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ। এই শপথ নেয়ার মধ্য দিয়ে সর্বশেষ রেকর্ডটি গড়েন তিনি। তা ছাড়া টানা প্রায় ৩৮ বছর ধরে বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন শেখ হাসিনা। চারবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার এমন দৃষ্টান্ত বাংলাদেশে আর নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন প্রথম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপর ২০০৮ থেকে ২০১৪, ২০১৪ থেকে ২০১৯ মেয়াদে দুই বারে ১০ বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল চতুর্থ মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন। বাংলাদেশে পরপর তিনবার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার এবং চারবার প্রধানমন্ত্রী থাকার নজির আর কারো নেই।
বিরোধীদলীয় নেতা : তিনটি জাতীয় সংসদে বাংলাদেশের বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন শেখ হাসিনা। ১৯৮৬ সালে তৃতীয় সংসদে, ১৯৯১ সালে পঞ্চম এবং ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বড় মেয়ে শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায়। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হন। সে সময় শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহনা বিদেশে থাকায় বেঁচে যান। এরপর ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে ১৯৮১ সালে ১৭ মে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী হিসেবেই দেশে ফেরেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।