পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে মাঝপথে মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, প্রবীন ও অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদদের মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়নি, দলকে আরও শক্তিশালী ও দক্ষ করতেই তাদের দায়িত্ব অন্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
গতকাল বঙ্গভবনে শপথ গ্রহণ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। জোটের শরিকদের মন্ত্রিপরিষদে না থাকা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মন্ত্রিত্ব না থাকলে তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ঐক্যজোট ভেঙে গেছে, এমন নয়। মন্ত্রী না হলে তারা থাকবেন না এমন নয়। শরীকরা আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। ভবিষ্যতের মন্ত্রিসভা রিশাফলিং হবে। সময়ে সময়ে চাহিদা অনুযায়ী পরিবর্তনও হতে পারে। শরীকরা এখন নেই, ভবিষ্যতে আসবে না এমন নয়। তিনি বলেন, এবার কিন্তু প্রাইম মিনিস্টার খুব সিরিয়াস এবং এই ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠিন। পারফরমেন্স না করতে পারলে অবশ্যই কারও মন্ত্রী থাকার কোনো অধিকার থাকবে না।
এর আগে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার মন্ত্রিসভায় একটা বিষয় এসেছে, সেটা খোলামেলা বলা উচিত। শেখ হাসিনার যে দৃষ্টিভঙ্গিটা কাজ করেছে সেটা হচ্ছে, তিনি এবার মন্ত্রিসভা গঠনে গুরুত্ব দিয়েছেন যেসব এলাকাগুলো দীর্ঘকাল ধরে মন্ত্রী হওয়া থেকে বঞ্চিত, যেসব জেলা থেকে মন্ত্রী হয়নি, সেসব জেলাগুলোতে তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এবার অনেকগুলো জেলা থেকে নতুন মুখ এসেছে।
নতুন মন্ত্রিসভায় প্রবীণদের বাদ দেয়ার কারণ জানতে চাইলে কাদের বলেন, যিনি বাদ দিয়েছেন তাকে জিজ্ঞেস করুন। সিদ্ধান্তটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। এখানে বাদ পড়াটা আমি ওভাবে বলতে চাই না। দায়িত্বের পরিবর্তন সেভাবেই দেখা যায়। তারা পার্টিতে মনোনিবেশ করবেন। বাদ দেয়া কথাটা ঠিক নয়। তিনি বলেন, ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের উপযোগী করে প্রধানমন্ত্রী নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করেছেন। মন্ত্রিসভার আকার চাহিদা অনুযায়ী বর্ধিত করা হতে পারে। এই মন্ত্রিসভা নিয়ে দলের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই। এটি নিয়ে দলের ভেতর ফাটল ধরবে না।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দুর্নীতির ক্ষেত্রে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সুশাসন কায়েমে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দুর্নীতির কারণে মন্ত্রীরা বাদ পড়েছেন, এটা ঠিক না। নতুন সরকারের কিছু চ্যালেঞ্জতো থাকবেই। তবে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা। আর এ লক্ষ্যেই নতুন এ মন্ত্রিসভা।
বিরোধী দল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি যাবে বলে ইতোমধ্যে সিন্ধান্ত নিয়েছে। তারা বিরোধী ভূমিকা রাখলে গণতন্ত্র ভালো থাকবে। ‘অভিজ্ঞ মন্ত্রীদের অনেককেই মন্ত্রী সভা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এতে সমস্যা হবে কিনা’ এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, এবারের মন্ত্রিসভাতেও অভিজ্ঞ ব্যক্তি রয়েছেন। একেবারে নেই বা তাতে সমস্যা হবে এমন ধারণা ঠিক না। আগে দায়িত্ব পালন করা অনেকেই মন্ত্রিসভায় আছেন। কাজেই মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞ লোক আছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।