পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধারণ ক্ষমতার প্রায় তিনগুন বন্দি নিয়ে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নাভিশ্বাস উঠছে। যার মধ্যে বিচারাধীনবন্দিই রয়েছে দক্ষিণাঞ্চালের সর্ববৃহৎ ও প্রাচীনতম এ কারাগারটির মূল ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুন। প্রায় একই চিত্র দক্ষিণাঞ্চলের সবগুলো জেলা কারাগারেও। শুধুমাত্র ডিসেম্বর মাসেই সবগুলো কারাগারে বিপুল সংখ্যক নতুন বন্দির প্রবেশ ঘটে বলে জানা গেছে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ডিসেম্বর মাসে নতুন করে প্রায় ৪শ বন্দি ঠাঁই নেয়ায় এখানে বিচারাধীন হাজতি ও দন্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দির মোট সংখ্যা দাঁড়ায় ১হাজার ৬৩৫ জনে। অথচ এ কারাগারটির সর্বোচ্চ ধারণ ক্ষমতা ৬৩৩। গতকাল পর্যন্ত এখানে ১হাজার ৬০৭জন হাজতি ও দন্ডাদেশ প্রাপ্ত বন্দি অবস্থান করছিল।
মধ্য বৃটিস যুগে স্থাপিত বরিশাল জেলা কারাগারটি ১৯৯৭ সালে কেন্দ্রীয় কারাগারে উন্নীত করা হয়। তবে কাগজেপত্রে মান উন্নীত হলেও এখানের অবকাঠামোগত খুব একটা উন্নয়ন হয়নি। দীর্ঘদিনের পুরনো ও ব্যবহার অনুপযোগী ঘোষিত ভবনগুলো অনেকটাই কর্তৃপক্ষের দুঃশ্চিতা বৃদ্ধি করে। এক পর্যায়ে দুটি ভবন পরিত্যক্তও ঘোষণা করা হয়। ফলে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি নিয়ে চরম সঙ্কটে কারা কর্তৃপক্ষ। তবে ‘সিডর পুনর্বাসন প্রকল্প’র আওতায় সম্প্রতি নির্মিত দুটি ভবনে কিছু বন্দিকে স্থানন্তর করা হয়েছে।
কিন্তু তারপরেও বৃটিশ যুগের এ কারাগারে এখন ধারণ ক্ষমতার তিনগুন বন্দি নিয়ে চরম সঙ্কট চলছে। গত ৩০ জুলাই বরিশাল সিটি নির্বাচন ও ৩০ ডিসেম্বরের সাধারন নির্বাচনকে কেন্দ্র করেন গণগ্রেফতারে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে সবগুলো কারাগারেই ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন কারা কর্তৃপক্ষ।
কিন্তু বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের অবস্থা সবচেয়ে নাজুক। ডিসেম্বর মাসে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে নতুন প্রায় ৪শ বন্দির ঠাঁই মিলেছে। যাদের প্রায় সবাই বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী কবলে জানা গেছে। এ কারাগারে ৬৩৩ধারন ক্ষমতার বিপরীতে গতকাল পর্যন্ত বন্দি ছিল প্রায় ১হাজার ৬০৭জন। অথচ এর মধ্যে সাজাপ্রাপ্ত বন্দির সংখ্যা ১৯ নারীসহ মাত্র ৩২৭।
অপরদিকে বিচরাধীন বন্দির সংখ্যা ২১নারীসহ ১২শর ওপরে। এছাড়া বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসির দন্ডাদেশ পাওয়া আসামি রয়েছে ২নারীসহ ৭৭ জন। অথচ এখানে কন্ডেম সেল-এর সংখ্যা মাত্র ১২টি। চার দলীয় জোট সরকারের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরও এখন বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের কন্ডেম সেল-এ রয়েছেন। তিনি চট্টগ্রামের ১০ট্রাক অস্ত্র মামলা ও ২১আগষ্ট গ্রেনড হামলা মামলায় মৃত্যু দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আসামি। গত মাসের শেষ ভাগে তাকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।