পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) আওতায় বরাদ্দ দেওয়া বৈদেশিক সহায়তা খরচের সর্বশেষ অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরের (২০১৮-১৯) সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ নির্ধারণের জন্য এ উদ্যোগ নিয়েছে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি)। এজন্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর সঙ্গে আগামী ৯ ও ১০ জানুয়ারি দু’দিনের সিরিজ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকটি গত ১৯ ও ২০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে (২০১৭-১৮) এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা খাতে বরাদ্দ ছিল ৫৭ হাজার কোটি টাকা। তবে খরচ করতে না পারায় এডিপি থেকে চার হাজার ৯৫০ কোটি টাকার বৈদেশিক সহায়তা বাদ দেওয়া হয়।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তা থেকে বরাদ্দ রয়েছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। তবে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কমবে নাকি বাড়বে, সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। তবে সাধারণত প্রত্যেক অর্থবছরই কিছু কিছু বরাদ্দ কমে যায়।
ইআরডি সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ব্যয় বা বাস্তবায়ন অগ্রগতির ওপর ভিত্তি করে সংশোধিত এডিপিতে প্রকল্পভিত্তিক বৈদেশিক সহায়তা বরাদ্দ নির্ধারণ করা হবে। এজন্য এর আগে পাঠানো এক চিঠির মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে সংশোধিত এডিপির জন্য চাহিদাপত্র ফরেন এইড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (এফএএমএস) সফটওয়্যারে এন্ট্রি করতে বলা হয়েছিল। এছাড়া, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ বা সংস্থার প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে বলা হয়, বৈঠকে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তা বা প্রতিনিধি উপস্থিত না থাকলে পরবর্তী পর্যায়ে কোনো আপত্তি বিবেচনা করা সম্ভব হবে না।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব মো. মনোয়ার আহমেদ জানান, এটি একটি রুটিন কাজই বলা যায়। প্রতিবছরই এরকম উদ্যোগ নেওয়া হয়। এডিপিতে বৈদেশিক সহায়তার যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, তার সর্বশেষ অবস্থা এই বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। তিনি জানান, কোনো মন্ত্রণালয়ে হয়তো বেশি বরাদ্দ লাগবে, আবার কোনো মন্ত্রণালয়ের হয়তো কম লাগবে। সব মিলিয়ে সমন্বয় করে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ইআরডি সচিব বলেন, সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ কমবে না বাড়বে, সেটি এখনও আমার জানা নেই। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।
সূত্র জানায়, ইআরডির সচিব মো. মনোয়ার আহমেদের সভাপতিত্বে আগামী ৯ জানুয়ারি এনইসি সম্মেলন কক্ষে ১০টি খাত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। সেক্টরগুলো হচ্ছে-বিদ্যুৎ; পরিবহন; তেল-গ্যাস ও প্রাকৃতিক সম্পদ; যোগাযোগ; সমাজকল্যাণ, মহিলা ও যুব উন্নয়ন; ক্রীড়া ও সংস্কৃতি; স্বাস্থ্য-পুষ্টি-জনসংখ্যা ও পরিবার কল্যাণ; কৃষি ও ধর্ম এবং গণসংযোগ।
অন্যদিকে, ১০ জানুয়ারি সাতটি খাত সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে এই বৈঠক। এই খাতগুলো হলো, ভৌত-পরিকল্পনা-পানি সরবরাহ ও গৃহায়ন; পল্লি উন্নয়ন ও পল্লি প্রতিষ্ঠান; পানিসম্পদ; জনপ্রশাসন; শিল্প; বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।